Advertisement
Advertisement

Breaking News

Fishing

নিয়ম ভেঙে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ‘শাস্তি’, ৮ ট্রলার মালিককে শোকজ জেলা প্রশাসনের

২৪ জুন শোকজের জবাব দিতে হবে ট্রলার মালিকদের।

South 24 Parganas district administration sends show cause letter to the owners of 8 trallers for allegedly fishing on ban time | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 21, 2022 2:22 pm
  • Updated:June 21, 2022 10:28 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ। উপরন্তু আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢুকে মাছ ধরা। জোড়া নিয়ম ভাঙায় এবার শাস্তির মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আট ট্রলার মালিক। তাঁদের শোকজ করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ৮ টি ট্রলারের মালিকদের আলাদা করে চিঠি পাঠিয়েছে জেলার মৎস্য বিভাগ। ২৪ তারিখে শোকজের জবাব দিতে হবে তাঁদের।

Advertisement

প্রতি বছরই ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এবছরও তাই ছিল। কিন্তু উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) সূত্রে জেলা প্রশাসন খবর পায় যে নিয়ম ভেঙে কয়েকটি ট্রলার এই সময়েই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) পাড়ি দিয়েছে, মাছও ধরছে। শুধু তাই নয়, মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরছিলেন, উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে এই খবরও মেলে। ট্রলারগুলিকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি রায়দিঘির, বাকি ৭টি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার। এদের নাম – এফবি বাবা অমরেশ্বর, এফবি সপ্তর্ষি নারায়ণ, এফবি মা সারদা- ২, এফবি বর্গভীমা-৪, এফবি পুষ্পাবতী-২, এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী-২৫, এফবি পারমিতা, এফবি সুস্মিতা। প্রতিটি ট্রলারে ১৮ জন করে মৎস্যজীবী ছিলেন বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একদিনে করোনা সংক্রমণ নামল ১০ হাজারের নিচে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস]

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত কুমার প্রধান জানিয়েছেন, ”কোস্ট গার্ড সূত্রে আমরা খবর পাই, ১৩ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে ৮টি ট্রলার বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে মাছ ধরছিল। ট্রলারগুলি ফিরেও এসেছে। এরপর আমরা ট্রলারগুলিকে চিহ্নিত করে মালিকদের শোকজ নোটিস পাঠিয়েছি। ২৪ তারিখে তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে।” এনিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ”মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, ”এসব ক্ষেত্রে শুধু শোকজ করলেই হবে না। আরও কড়া শাস্তি হোক। প্রয়োজনে ট্রলারগুলির লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।”

[আরও পড়ুন: গানের গুঁতো আর মোক্সাবাদ! রাতদুপুরে রোদ্দুর রায়ের জোড়া অত্যাচারে ঘুম ছুটেছে বন্দিদের]

প্রসঙ্গত, বছর তিন আগে এভাবেই একটি ট্রলার সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেখানে এক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে সমুদ্রে যাওয়ায় এখনও কোনও দুর্ঘটনা বিমা পায়নি তাঁদের পরিবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ