Advertisement
Advertisement
জামাইষষ্ঠী

পাড়ার মেয়ে ছোটপর্দার নায়িকা, জামাইষষ্ঠীতে কাটোয়ার আকর্ষণ ‘ত্রিনয়নী’ সন্দেশ

ধারাবাহিক 'ত্রিনয়নী'-তে কাটোয়ার শ্রুতি দাসের অভিনয় নজর কেড়েছে সকলের।

Special sweets on Jamai Sasthi named after bengali TV serial
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 8, 2019 10:59 am
  • Updated:June 8, 2019 11:00 am

ধীমান রায় ও চঞ্চল প্রধান: থালা বাহারি মিষ্টিতে সাজানো৷ কোনটা আগে খাবেন জামাইবাবাজিরা৷ ওই কাঁঠালের রসে ভরা মিষ্টি, নাকি আমের গন্ধে ম-ম করা ক্ষীরের সন্দেশ৷ নাকি তার পাশে থাকা বোম্বে রোল৷ হ্যাঁ, জামাইদের মন কাড়তে এমন বাহারি মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন নামী সমস্ত মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা৷

এবছর জামাইষষ্ঠীতে কাটোয়ায় বাজার মাতাচ্ছে ‘ত্রিনয়নী’ সন্দেশ। মানুষের মুখের আদলে ছানার তৈরি নরম সন্দেশ। তার ওপরে তিনটি রঙিন বিন্দু দিয়ে চোখ আঁকা। সুস্বাদু এই সন্দেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিনয়নী’। কাটোয়ার লাইনপাড়ায় বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরেই সড়কের ধারে একটি পুরানো মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেই দোকানের মালিক তাপস ঘোষের একেবারে নিজস্ব ভাবনায় তৈরি হয়েছে এই ত্রিনয়ণী সন্দেশ। কিন্তু কেন এই নামকরণ? জানা গেল, বাংলার জয়প্রিয় মেগাসিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ থেকেই এই নামকরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ত্রিনয়নী সিরিয়ালের মুখ্য ভূমিকায় যে অভিনেত্রী রয়েছেন সেই শ্রুতি দাস আদপে কাটোয়ার মেয়ে।

Advertisement

তাপসবাবুর কথায়, “শ্রুতি আমাদের কাটোয়ার গর্ব। তাই তাঁর অভিনীত সিরিয়ালের নাম অনুসারে এই সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে। আশা করি, কাটোয়াবাসী এই নতুন মিষ্টিকে সাদরে গ্রহণ করবেন।” তাপসবাবু জানিয়েছেন, ছানা, ক্ষীর, পেস্তা, কাজু এবং চকোলেট দিয়ে এই ত্রিনয়নী সন্দেশ তৈরি করা হয়। প্রতিটি সন্দেশের দাম ১৫ টাকা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দুই পাড়ার বিবাদকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দুর্গাপুরে, ফাঁড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ]

এদিকে, হলদিয়া-মহিষাদলে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ম্যাঙ্গোজেলির সঙ্গে স্ট্রোবেরি জেলি এবং ক্রিম মিশিয়ে স্পেশ্যাল আইটেম হিসাবে বানানো হয়েছে “প্যারাডাইস”৷ এমন স্পেশ্যাল আইটেমে ক্রিম, বেদানা জেলি, চেরি এবং দুধের সর দিয়ে তৈরি “বাটারফ্লাই”, “লোটাস” মিষ্টিও রয়েছে। যা চোখ পড়লেই জামাইবাবাজিদের জিভে জল আসতে বাধ্য৷ পেস্তা এবং ক্রিম সহযোগে ছানার রোল, পোস্ত সন্দেশ, কিংবা চকো-ক্যাডবেরি সন্দেশ এবার মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের পসরায় জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যাল হিসাবে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে৷

মিষ্টি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক দীপঙ্কর জানা বলেন, “আমরা প্রতি বছর বিশেষ অনুষ্ঠান, পালা-পার্বন উপলক্ষে স্পেশ্যাল আইটেম তৈরি করি৷ এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ খদ্দেরদের চাহিদাও চরমে৷ খদ্দের খুশি, তাই আমরাও তৃপ্ত৷” টাউনশিপের আর এক বিখ্যাত মিষ্টির দোকানে তৈরি হয়েছে হরেকরকম মিষ্টি৷ বেকড রসগোল্লা, ক্ষীরের মালাই দিয়ে মিষ্টিই শুধু নয়, পাকা আমের কাঁচা রসগোল্লা, মাটির ভাঁড়ে গুড় মিশিয়ে ক্ষীরের অমৃতকুম্ভ, চকো-কাঁঠালের সন্দেশ, ছানার পাতুরি প্রস্তুত করেছে। চৈতন্যপুরের এক মিষ্টির দোকানেও রয়েছে হরেক স্বাদের মিষ্টির সম্ভার৷ কোকো-রসগোল্লা, গাওয়া ঘি খোয়া ক্ষীর এবং দুধ দিয়ে তৈরি দিলখুশ। পাশাপাশি স্পেশ্যাল আইটেম হিসাবে রয়েছে আলফানসো আমের কাঁচা রসগোল্লা৷ এমনই মহিষাদলের এক মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থাও ছানা ও ক্ষীরের তৈরি বিলাসভোগ, বোম্বেরোল, ছানা এবং কেশর মিশ্রিত কেশরভোগ তৈরি করেছে৷

[ আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই সক্রিয় পুলিশ! বালুরঘাটে বাতিল বিজেপির বিজয় মিছিল ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ