সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সংশোধনাগারের বন্দিদের বাঁচাতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ও ডায়মন্ড হারবার মহকুমা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যজেলার উদ্যোগে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করে। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা উপ-সংশোধনাগারেই এই আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা উপ-সংশোধনাগারের ছ’টি ওয়ার্ডে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা এই মুহূর্তে ২২০ জন। ওই বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে দেখা করতে আসেন তাঁদের পরিবার ও পরিজনেরা। তাদের কারোর মধ্যে আপাতত এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা না গেলেও বন্দিদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তাই কেউ আক্রান্ত হলে যাতে দ্রুত তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করা যায়, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবার প্রশাসনিক কর্তারা ওই সংশোধনাগারে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এদিন মহকুমা উপ-সংশোধনাগারের ভিতর চালু করা হল দু’টি শয্যার এক আইসোলেশন ওয়ার্ড। বন্দিদের জন্য মজুত রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং বেশ কিছু মাস্কও। এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক( স্বাস্থ্য) সাগর চক্রবর্তী, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ দেবাশিস রায়, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল উৎপল দাঁ ও মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা-সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা সংশোধনাগারে যান। সেখানে গিয়ে তারা বন্দিদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি কীভাবে মানব শরীরে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয়, তা বন্দিদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এদিন সংশোধনাগারের বন্দিদের করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন বা কীভাবে নিজেদের পরিচ্ছন্ন রাখবেন সেই সম্পর্কেও অবহিত করেন।
[আরও পড়ুন: করোনা এড়াতে মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ, সংক্রমণ এড়াতে রক্ষাকবচ দিচ্ছেন জ্যোতিষীরা]
ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানান,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই সংশোধনাগারে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংশোধনাগারের ভিতরেই দু’টি শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকছে। সঙ্গে থাকছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের যাবতীয় সরঞ্জাম। এছাড়াও তিনজন চিকিৎসক পালা করে প্রতিদিনই বিচারাধীন বন্দিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন।” বন্দিদের সঙ্গে যারা দেখা করতে আসবেন তাঁদের সকলকে প্রথমে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ স্যানিটাইজড করবেন। তারপরই তারা বন্দিদের সঙ্গে তাঁদের দেখা করার সুযোগ পাবেন বলে জানান মহকুমা শাসক।