Advertisement
Advertisement
খেজুরি সৎসঙ্গ উৎসব

অধিবেশনের কারণে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী, খেজুরি সৎসঙ্গ উৎসবে যোগ দেবেন শুভেন্দু

সোমবার বিধানসভায় এই কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

State transport minister Suvendu adhikari may attend khejuri satsang utsab

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 10, 2020 9:14 pm
  • Updated:February 10, 2020 9:14 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারছেন না। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে ৫২তম সৎসঙ্গ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সেচ, পরিবহণ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পাস হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে বলেন, ‘বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলার কারণে খেজুরি সৎসঙ্গ উৎসবে যেতে পারছি না। আমি শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ভাবধারায় বিশ্বাস করি। খেজুরিতে সৎসঙ্গ উৎসবে শুভেন্দুকে পাঠাব।’ নিজের ঘরে বসেই শুভেন্দুবাবুকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্রম কর্তৃপক্ষ শুভেন্দুবাবুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী কথা দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই যাবেন। তবে উৎসবের দিনেও বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা সেচ ও পরিবহণ মন্ত্রীর। তবে সৎসঙ্গ উৎসব চলবে সারাদিন। তাই দ্বিতীয়ার্ধে খেজুরি সৎসঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি শুভেন্দুবাবুর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বংশরক্ষা করতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে শিশুপুত্র চুরি, অপরাধ কবুল ধৃতের]

 

Advertisement

এবার সৎসঙ্গ উৎসব হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী শুক্রবার। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সৎসঙ্গীরা আসবেন এখানে। উৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গণে মেলাও বসবে। প্রচুর জনসমাগম যে হবে তা বলাই বাহুল্য। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম সৎসঙ্গ আশ্রমকে জমি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন খেজুরি সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রতিনিধিকে বসন্তোৎসবের আগাম শুভেচ্ছাও জানান। শুভেন্দুবাবুও জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই সৎসঙ্গে অনুরক্ত। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের নীতিতে তাঁর অগাধ বিশ্বাস।

[আরও পড়ুন: জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জের, অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম এক মহিলা]

 

খেজুরি সৎসঙ্গ আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বছরে তিনবার শ্রীশ্রী ঠাকুরের উৎসব হয়। গত ৫১ বছর ধরে এই প্রথা চলছে। প্রত্যেক বছর পয়লা ফাল্গুন বসন্তোৎসবের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৎসঙ্গীরা আসেন। আশ্রমে গেস্ট হাউস না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়। খেজুরি আশ্রমে আগে একটি অবৈতনিক স্কুল ছিল। অর্থাভাবে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই স্কুলটি ফের চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ