ধীমান রায়: পরিবারে খুব সামান্য জমিজমা রয়েছে। তা থেকে যা আয় হয় তাতে সংসার চলে না। তাই চাষাবাদ সামলে সারা বছর বিড়ি বাঁধার কাজ করতে হয় ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের শ্যামল শীলকে। তারই মেয়ে সুজাতা শীল বড়বেলুন দেবীবালা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী৷ এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল৷ বুধবার ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৬।
[বিজেপি করার ‘অপরাধে’ বেধড়ক মার ক্যানসার আক্রান্তকে, প্রকাশ্যে খুনের হুমকি]
জানা গিয়েছে ভাতার ব্লকের মধ্যে এই নম্বর হল এ বছর মাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর। ফলপ্রকাশের পর সুজাতাকে বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে আসছেন প্রতিবেশীরা। গরীব পরিবারের মেয়ের এই ফলাফলে গর্বিত স্কুলের শিক্ষিকারাও।বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল শীল ও অনসূয়া শীলের যমজ সন্তান সুজাতা ও সুজয়। দুজনেই মাধ্যমিকে বসেছিল। তবে নম্বররের দিক থেকে সুজয়কে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে সুজাতা।
[অশান্তি কেড়ে নিয়েছে সন্তানকে, মাধ্যমিকের মার্কশিটেই তবু শান্তি খুঁজছেন ইমাম রশিদি]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে শ্যামলবাবু ও অনসূয়াদেবী দুজনেই স্নাতক। তাঁরা মূলত ছেলেমেয়েকে বাড়িতেই পড়াতেন। শ্যামলবাবু বলেন, “আমি খুব কষ্ট করে সংসার চালাই। ছেলেমেয়েদের ঠিকমতো টিউশন দিতে পারিনি। তবে ওরাও আমার কাছে জোর করেনি।” মাধ্যমিকে সাফল্যের পর সুজাতা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করতে চায়। সে বলে, শিক্ষকতা আমার কাছে মহান পেশা। ভবিষ্যতে আমি আমার মত দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে চাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.