সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কর্মসূচি চলাকালীন বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলায় ধৃত কুড়মি নেতাদের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ মে। ওইদিন রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শালবনি যাওয়ার পর তাঁর পিছনেই যাচ্ছিল ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর গাড়িতে আচমকা হামলা চালায় কুড়মিরা। গাড়ির কাচ ভাঙে। ইটের আঘাতে তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। এনিয়ে রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় অভিষেকের। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ কুড়মি নেতাকে।

[আরও পড়ুন: অস্ত্র নিয়ে বালিখাদানে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার বিজেপি বিধায়কের ‘আপ্ত সহায়ক’]
বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই শালবনিতে হাজির রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ধৃত অজিত মাহাতো, অনীত মাহাতো ও মনমোহিত মাহাতোর বাড়ি যান তিনি। কথা বলেন, পরিবারের সদস্যের সঙ্গে। আশ্বাস দেন পাশে থাকার, ধৃতদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার। এরপরই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, “গ্রামে লোকজন অসম্ভব অত্যাচারিত হচ্ছে। বিনা দোষে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুরুষ শূন্য করে দেওয়া হচ্ছে গ্রাম। মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। কুড়মিদের অপরাধ এরা একটু কথা বলতে চেয়েছিলেন।” শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আইন মেনে তাঁকে ডেকে আগে কথা বলুক পুলিশ। তারপর গ্রেপ্তারি। বামেদের বিদায় পর্যায়ের সঙ্গে বর্তমান তৃণমূলের তুলনাও টানলেন তিনি।