Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ তারাপীঠ মন্দির, অনলাইনেই হবে পুজো

করোনা আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে তারকেশ্বর মন্দির।

Tarapith Mandir is going to closed from Wednesday
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 19, 2020 3:39 pm
  • Updated:March 19, 2020 5:57 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বুধবারই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তারকেশ্বর মন্দির। এবার আতঙ্কের জেরে বন্ধ হয়ে গেল তারাপীঠ মন্দিরও। বৃহস্পতিবার মন্দির কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়ে বলেছে, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।

বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ তারাপীঠ জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। পাশাপাশি পাথরচাপড়ি, নলহাটির মাজার দেখতে ভিড় জমে। করোনার জেরে সেখানে ভক্ত সমাগম কম করার আবেদন করলেন জেলাশাসক। বুধবার সিউড়িতে জেলাশাসকের প্রশাসনিক দপ্তরে পুরোহিত, মৌলবী, সেবাইতদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক শুরুর আগে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে সকলকে হাত পরিষ্কার করে কনফারেন্স হলে ঢুকতে হয়। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা সকলের কাছে ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। তাতে তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তারাপীঠে যাঁরা প্রসাদ বিতরণের জন্য ভান্ডারা দেন, তাঁদের চলতি মাসে ভান্ডারা না দেওয়ার অনুরোধ করব আমরা। পাশাপাশি আমাদের মন্দিরে নিজস্ব মাইক থেকে মানুষকে বারেবারে সচেতন করা হবে।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বচসার জেরে খুন! ১০ দিন পর পুকুর থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ ]

মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এখন থেকে অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সক্রিয় করব। সেবাইতদের নিজস্ব ভক্তরা অনলাইনে, বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা মানিঅর্ডার করে টাকা পাঠান। সে টাকায় তাঁদের নাম গোত্র ধরে পুজো হয়। কেউ চাইলে তাঁরা না এসেও পুজো দিতে পারেন। তাছাড়া মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী এখন থেকে নিয়মিত ভক্তদের লাইনে দু’জনের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য শিবির করা হবে। যদি কাউকে সন্দেহজনকভাবে অসুস্থ দেখি আমরা তাকে সেখানে নিয়ে যাব।”

Advertisement

সিউড়ি জিয়াউল মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ শাখাউদ্দিন জানান, “আমাদের নমাজের আগে হাত পা ধুয়ে যেতে হয়। সেখানে পরিষ্কারের জন্য আরও বেশি সচেতন করা হবে। তবে দু’জন নমাজির মধ্যে এক মিটারের দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। তা রাখার জন্য আবেদন করা হবে।” বক্রেশ্বর সেবাইত কমিটির সম্পাদক সৌমব্রত চৌধুরী বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে সেবাইতদের নিয়ে বৈঠকে বসি। ঠিক হয় এখন থেকে ভক্তদের ভান্ডারা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এখন থেকে কোনও সেবাইত নিজের হাতে করে ভক্তদের মাথায় পুস্প, কপালে সিঁদুরের টিপ দেবে না। দূরত্ব বজায় রেখে হাতে চরণামৃত দেওয়া হবে। তাছাড়া উষ্ণ প্রস্রবনে স্নান করে ফিরলেও তাকে হাত ধুয়ে মন্দিরে ঢুকতে হবে। করেন আমরা ইতিমধ্যে বক্রেশ্বরে একটা স্বাস্থ্য শিবির করার আবেদন করেছি।”

[ আরও পড়ুন: করোনার গ্রাসে পর্যটন, বকখালিতে বন্ধ সমস্ত হোটেল, লজ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ