সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউনে অন্যান্য শিল্পের মতো বন্ধ ছিল দেশের সমস্ত চা বাগানগুলিও (Tea Gardens)। পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং, ডুয়ার্সের চা বাগানেও দীর্ঘদিন কাজ হয়নি। যদিও প্রায় মাস তিনেক পর আনলকের প্রথম পর্ব থেকে বাগান খুলে দেওয়ার সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও এতগুলো দিন বন্ধ থাকায়, রপ্তানি থমকে যাওয়ায় লোকসানও খুব কম হয়নি। কিন্তু সেসব বাধা কাটিয়েই এবছর বাড়তি পুজোর বোনাস ঘোষণা হল চা-শ্রমিকদের জন্য। আগেরবারের তুলনায় দেড় শতাংশ বাড়তি হারে বোনাসের খবরে খুশির হাওয়া রাজ্যের চা-বলয়ে। মিলবে ২০ শতাংশ বোনাস।
এবছরও চা-শ্রমিকদের বোনাস দিতে গত ১৪ তারিখ চা সংগঠনগুলির সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক হয় নীতি নির্ধারক কমিটি – কনসাল্টেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (CCPA)। তাতে বোনাসের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়। তবে সংগঠনগুলি রাজি না হওয়ায়, ফের শুক্রবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। সংগঠনের অনেকেই জানান যে চা-বাগানের রুগ্ন দশায় বোনাসের হার বাড়ানো সম্ভব নয়। তাদের জন্য কিছুটা ছাড় দিতে সম্মত হয় কনসাল্টেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন। তবে লাভজনক বাগানগুলিতে সামগ্রিকভাবে দেড় শতাংশ হারে বোনাসের অঙ্ক বাড়ানোয় চলতি বছর পুজোয় শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাস (Bonus) পাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: পোকা ধরা ছোলা, কালচে গম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, রেশন সামগ্রী নিয়ে ফের অভিযোগে সরব রাজ্য]
মালিকপক্ষের একাংশের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতিতে লাভের দিকটি সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে এবার শ্রমিকস্বার্থে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। তাই কষ্ট করে হলেও, সামান্য লাভজনক তা বাগানগুলিতে ২০ শতাংশ হারেই বোনাস দেওয়া হবে। বাকি চা বাগানের শ্রমিকরা বোনাস পাবেন পুরনো হারে। ডুয়ার্স, তরাইয়ে এমন রুগ্ন চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪০। এছাড়া দার্জিলিংয়েও রয়েছে বেশ কিছু চা-বাগান। সেখানেও একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে সামান্য কমল করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা, মোট কোভিডজয়ী ২ লক্ষের কাছাকাছি]
অন্যদিকে, লকডাউনে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় যথেষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন চা-শ্রমিকরা। দৈনন্দিন জীবনযাপনই সমস্যার মুখে পড়েছিল। তবে ফের কাজ শুরু হওয়ায়, সেই বাধা ধীরে ধীরে তাঁরা কাটিয়ে উঠছেন। উৎসবের মরশুমে বাড়তি বোনাসের খবর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শ্রমিক মহলে। তাঁরা মনে করছেন, বাড়তি টাকায় অভাব কিছুটা পূরণ হয়ে যাবে। এখন পুজোর বোনাস হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।