Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধান শিক্ষক

স্কুল থেকে ছুটি চাওয়ায় ছাত্রের কান টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুর হাই স্কুলে।

Teacher torn the ear of student for asking leave
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 29, 2019 1:33 pm
  • Updated:June 29, 2019 1:33 pm

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: স্কুলের মধ্যে অসুস্থ বোধ করায় প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটি চেয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। আর ছুটি যাওয়ার কারণেই দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে প্রথমে মারধর ও পরে কান ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুর হাই স্কুলে। ওই ঘটনার পর কানে তিনটি সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হয়েছে ওই ছাত্রকে। প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্র। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই ছাত্রের নাম সায়ন বার। তার বাড়ি শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুরের নতুনগ্রাম এলাকায়। সায়ন শান্তিপুরের নৃসিংহপুর হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পুলিশের কাছে সায়ন অভিযোগ করেছে, ‘মাসখানেক আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল সে। প্রায় একমাস অসুস্থতার কারণে সে স্কুলে যেতে পারেনি। যদিও বৃহস্পতিবার শরীর কিছুটা সুস্থ বোধ করায় সে স্কুলে গিয়েছিল। যদিও স্কুলে থাকাকালীন দুপুরে অসুস্থ বোধ করে সে। এরপর সে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটি চায়। প্রধান শিক্ষক যদিও ছুটি না দিয়ে তাকে মারধর করেন। তার কান ধরে টেনে তাকে নীল ডাউন হতে বলেন। প্রচণ্ড জোরে কান ধরে টানার জন্য তার কান ছিঁড়ে যায়। কান থেকে অঝোরে রক্ত ঝরতে থাকে। অসুস্থ অবস্থায় সে অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্য ছাত্রছাত্রীরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তার ডান কানে তিনটে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন।’

Advertisement

এরপরে ওই ছাত্র নৃসিংহপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র বিদ্যান্তর গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র বিদ্যান্ত জানিয়েছেন, ‘ওই ছাত্রের এর আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তা আমার জানা ছিল না। তবে ওই ছাত্র স্কুলের মধ্যে অসভ্যতা করছিল। আমার অপরাধ হচ্ছে, আমি ওর কান ধরে নীলডাউন হতে বলেছিলাম। তাতে যে কানে টান লেগে ওর সেলাই ছিঁড়ে যাবে, রক্ত বেরোবে, তা তো আমার আগে ধারণা ছিল না। যদিও এর পরেও ওই ছাত্রের কানে সেলাই ও চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপরেও যদি ওই ছাত্র আমার নামে অভিযোগ করে, তবে কিছু বলার নেই।’

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ