Advertisement
Advertisement
Teenager allegedly hackled in a home of Liluah

সেফটিপিন দিয়ে হাতে নাম খোদাই! ফের রাজ্যের সরকারি হোমে নির্যাতনের শিকার নাবালিকা

ওই নির্যাতিতার বাড়িতে যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Teenager allegedly hackled in a home of Liluah ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 7, 2021 9:34 am
  • Updated:January 7, 2021 9:34 am

স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া ও নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: যে হোমে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের জন্য পাঠানো হয়, সেখানেই চলে অকথ্য র‌্যাগিং। সেখানকার আবাসিকরাই নির্যাতন চালায় নবাগতদের উপর। প্রমাণ লিলুয়ার (Liluah) হোম কাণ্ড। সেখানে অত্যাচারের শিকার নাবালিকা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দেওয়া দিদিদের নামের আদ্যাক্ষর। নির্মম, অমানবিক এই ঘটনায় সরব হয়েছেন ওই নাবালিকার বাড়ির এলাকা চুঁচুড়ার মানুষ। যারা এই নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নাবালিকার বাবা-মা।

বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া, অভিমান করে তিন সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল চুঁচুড়ার ওই নাবালিকা। স্থান হয়েছিল লিলুয়ার সরকারি হোমে। এরপর পরিবারের লোক হোমের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি জটিলতা কাটিয়ে যখন মেয়েকে ফিরে পান তখনই ধরা পড়ে সে অকথ্য অত্যাচারের শিকার। সারা শরীরে নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট। এরপরই লিলুয়া হোমের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সপ্তাহ তিনেক আগে ঘর ছাড়া নাবালিকাকে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) ঘুরতে দেখে জিআরপি উদ্ধার করে। চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে লিলুয়া হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এরপর আইনের দ্বারস্থ হয়ে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আবেদন জানায় পরিবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রক্তচক্ষু দেখিয়ে আটকানো যাবে না’, মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর]

কিন্তু মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে রীতিমতো শিউরে ওঠেন নাবালিকার বাবা-মা। দেখেন মেয়ের হাতে সেফটিপিন দিয়ে ইংরেজি হরফ খোদাই করা রয়েছে। সে জানায় তাকে লিলুয়া হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হোমের দিদিরা ভয় দেখিয়ে তার হাতে সেফটিপিন দিয়ে দিদিদের নামের আদ্যাক্ষর খোদাই করে দেয়। বলে, তাদের যাতে মনে রাখে, সেজন্যই তার হাতে সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দেওয়া হয়েছে। নাবালিকা আরও জানায়, হোমে এরকম আরও অনেক মেয়ের হাতে এই নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। সদর মহকুমা শাসক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই নাবালিকার পরিবার তাঁর কাছে এসেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

Advertisement

এদিকে, এই ঘটনার পরই বুধবার লিলুয়া হোমে বেলুড় থানার আধিকারিক ও শিশু অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এই বিষয়ে হোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে নাবালিকার বাবা-মা দাবি করেছেন, তাঁদের মেয়ের এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়। যদিও সেখানে পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের ধরে টিআই প্যারেড করিয়ে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাতে ওই নির্যাতিতার বাড়িতে যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁর দাবি, রাজ্যের হোমগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত। কোথাও নিরাপত্তা নেই।

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের পুরস্কার! শুভেন্দু অধিকারীকে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করল কেন্দ্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ