রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অরিজিৎ গুপ্ত: ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষের চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি। শুক্রবার সকালে হাওড়ার শিবপুরে দিলীপ ঘোষের চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। যা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রথমে তিনি মধ্য হাওড়ার বিজয়নানন্দ পার্কে যান। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে শিবপুর বোষ্টমপাড়ায় যান তিনি। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি আটকাতে এলাকায় সমস্ত চায়ের দোকান বন্ধ করে দেয় তৃণমূল। দলের ঝান্ডাও লাগিয়ে দেয় তারা।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘তৃণমূল আমাদের ভয় পাচ্ছে বলে চায়ের দোকানই বন্ধ করে দিচ্ছে। আমি এসেছি চা খেতে সেজন্য চায়ের দোকান খুলতে দেবে না।’ এধরনের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, আজ থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। সাংসদ থেকে বিধায়ক, দলীয় নেতা-কর্মীরা পুরভোটের আগে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। দলের প্রচারে গিয়ে করোনা নিয়েও সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের গাইড লাইনের কথা তুলে ধরছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: জলযোগে গোলযোগ, বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব]
শুক্রবার হাওড়ায় দলের চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরামর্শ, সতর্ক থাকুন, সাবধানে থাকুন। গতকাল রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলব। ভয়ের কোনও কারণ নেই। পুরভোট নিয়ে বিভিন্ন জেলাতেই প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। সেই প্রচারে গিয়েও নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসছে করোনা সতর্ককতার কথা। মাস্ক ব্যবহার থেকে শুরু করে পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।