Advertisement
Advertisement
Fraud

মোহর বিক্রির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, ধৃত চক্রের ৩ পাণ্ডা

ঘটনার সঙ্গে বাকিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Three fraud arrested from birbhum | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 1, 2020 9:48 pm
  • Updated:October 1, 2020 9:54 pm

অর্ণব আইচ: পুরনো প্রাসাদ থেকে পাওয়া গিয়েছে ঘড়াভরা মোহর! কেউ কয়েক লাখ টাকা দিলেই সেই মোহর তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। এভাবে জাল মোহরের কারবার শুরু করেছিল বীরভূমের (Birbhum) একটি চক্র। পূর্ব কলকাতার এক ব্যবসায়ীর পর এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। তাঁর গাড়ির পিছু নিয়েই হাতেনাতে এক সপ্তাহের মধ্যে জাল মোহর প্রতারণা চক্রের তিন মাথা শেখ আজিজুর রহমান ওরফে রাজু, অনন্ত রাউত ওরফে শ্যাম মুর্মু ও সুরজ শেখকে বীরভূমের সাঁইথিয়া ও বোলপুর থেকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারে গোয়েন্দা বিভাগের জালিয়াতি দমন শাখার আধিকারিকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে বেনিয়াপুকুর থানায় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, শ্যাম মূর্মু নামে এক যুবক তাঁকে ফোন করে মোহরের বিষয়টি জানায়। লকডাউনের (Lockdown) পর মোহরের নাম করে তাঁর হাতে মাটি মাখা একটি ঘড়া দেয়। ঘড়া খুলতেই তিনি দেখেন, তাতে রয়েছে পিতল ও তামার সামগ্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পারেন, একইভাবে এক চিকিৎসককে রাজু নামে এক যুবক ফোন করে কথা প্রসঙ্গে বলে, সে মিস্ত্রির কাজ করতে করতেই একটি পুরনো প্রাসাদ থেকে মোহরের ঘড়া খুঁজে পেয়েছে। বিক্রির কথাও বলে। সেইমতো চিকিৎসকের সঙ্গে সে দেখা করে। একটি মোহর তাঁকে দেয়-ও। তিনি গয়নার দোকানে গিয়ে যাচাই করে দেখেন, সেটি আসল সোনার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্মৃতিতে টাটকা লাদাখ সংঘর্ষ, পুজোয় অতিথি তালিকা থেকে বাদ চিনা দূতাবাসের আধিকারিকরা]

অভিযুক্তরা তাঁকে বলে, সাত লাখ টাকা দিলেই ঘড়া ভরতি প্রায় তিনশোটি আকবরের আমলের মোহর দিয়ে দেবে। চিকিৎসক ওই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে যে, বীরভূমে ওই চিকিৎসক মোহর আনতে যাবেন। দূর থেকে তাঁর গাড়ির পিছু নেন লালবাজারে গোয়েন্দারা। একটি নির্জন জায়গায় চিকিৎসকের গাড়ির সামনে দুই যুবক আসে। তাদের হাতে ছিল পিতলের মোহর ভরতি ঘড়া। সেটি চিকিৎসকের হাতে তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাতে নাতে ধরে ফেলে গোয়েন্দা পুলিশ। চিকিৎসকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার আগেই আজিজুল ও আনন্দকে গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন। জানা গিয়েছে, এই দল অনেককে ফোন করে বেশ কয়েক লাখ টাকা হাতিয়েছে। তাদের জেরা করেই বুধবার গভীর রাতে বোলপুরে হানা দিয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা সুরজকে গ্রেপ্তার করেন। এই পদ্ধতিতে কতজনকে প্রতারণা করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে সাদা কাগজ থেকে তৈরি হচ্ছিল নোট! প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ