জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: টিকিট কাউন্টারে কর্মীর অসংলগ্ন আচরণের টিকিট দেওয়ার কাজ বন্ধ রইল বনগাঁর (Bongaon) গোপালনগর স্টেশনে। শনিবার ভোর চারটে থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ রানাঘাট ছাতার গোপালনগর রেল স্টেশনে৷ অভিযুক্ত রেলকর্মী শেখর সান্যালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন ভোররাত থেকে যাত্রীরা ট্রেন ধরবেন বলে গোপালনগর স্টেশনে আসেন৷ টিকিট (Ticket) কাউন্টারের সামনে তাঁরা লাইনও দেন৷ অভিযোগ, কাউন্টারের মধ্যে থাকা রেলকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন তিনি৷ টিকিট দেওয়ার মত পরিস্থিতিতেই ছিলেন না তিনি৷ ক্ষুব্ধ যাত্রীরা কেউ কাউন্টারের গ্রিলে চড়-থাপ্পড় মারেন৷ অনেকেই টিকিট ছাড়া ভয়ে ভয়ে ট্রেনে ওঠেন৷ কেউ টিকিট না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান৷ এই ঘটনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আরপিএফ (RPF) কর্মীরা গোপালনগর প্ল্যাটফর্মে আসেন৷ যাত্রীবিক্ষোভ ঠেকাতে তাঁরা জানান, মেশিন খারাপ হওয়ায় টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না৷ তাঁরা যেন বনগাঁ স্টেশনে গিয়ে টিকিট কেটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন যদি রাস্তায় টিটিই টিকিট চান? আরপিএফ কর্মীরা তাঁদের জানান, বনগাঁ স্টেশনে বলে দেওয়া আছে, কেউ তাঁদের ধরবেন না৷ ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বক্তব্য, ”বনগাঁয় গিয়ে টিকিট কেটে নতুন করে ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাবে৷ কাজ মিটবে কিনা সন্দেহ৷” সকাল ৮টা ২৪ নাগাদ আরপিএফ-এর মধ্যস্থতায় অন্য এক রেলকর্মী কাউন্টারে আসেন। তারপর টিকিট দেওয়া শুরু হয়৷ ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শেখরের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন৷ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাকে সেখান থেকে নিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে৷
স্থানীয় ব্যবসায়ী দোকানদারদের বক্তব্য, ”এদিনই প্রথম নয়, এর আগেও ওই রেলকর্মী মদ খেয়ে বেহুঁশ হয়েছিলেন৷ এরপরে হলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। ওঁকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক৷” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখর বাবু। তাঁর জবাব, ”মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে টিকিট দিতে পারিনি। আমি নার্ভের রোগী, ওষুধ খেয়ে শুতে হয়। আমি মদ খাইনি৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.