Advertisement
Advertisement
বাজি

ফলের আগে সরগরম পুরুলিয়ার বেটিং বাজার, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে লক্ষাধিক টাকার বাজি

দুই বাসিন্দার মধ্যে এবার ১ লক্ষ ২০হাজার টাকার বাজির চুক্তি৷

TMC and BJP supporters in Purulia get involved in betting
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 18, 2019 9:08 am
  • Updated:May 18, 2019 9:08 am

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পছন্দের দলের প্রার্থীদের হারজিত নিয়ে ফের বাজি৷ ফের সেই পুরুলিয়ার মাটিতে জমজমাট বাজির বাজার৷ এবারে বাজির অঙ্ক আরও বেশি৷  আবারও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে লক্ষাধিক টাকার বাজি ধরলেন পুরুলিয়ার দুই বাসিন্দা বরুণ মাহাতো, ধনঞ্জয় মাহাতো৷ তাঁদের বাজির অঙ্ক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা৷ এবারও ওই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে দু’জনের চুক্তি হয়েছে এই মর্মে, ‘অদ্য আমরা পঞ্চ ভদ্রায়ন থাকিয়া ১৫.৫.১৯ বরুণ ও ধনঞ্জয় মাহাতোর চুক্তি হইল। মৃগাঙ্ক মাহাতো জিতলে ধনঞ্জয় ১,২০,০০০ টাকা দিবে বরুণকে৷ জ্যোতির্ময় মাহাতো জিতলে বরুণ ধনঞ্জয়কে ১,২০,০০০ টাকা দিবে।’

[আরও পড়ুন: স্কুলের ছাদে ‘মদের আসর’! মত্ত অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটালেন জওয়ান]

ঠিক একদিন আগেই পুরুলিয়ার ঘোঙা গ্রামের দুই বাসিন্দার মধ্যে একই ধরনের চুক্তি হয়েছিল৷ অমৃত মাহাতো এবং মাণিক মাহাতোর মধ্যে ১ লক্ষ টাকার চুক্তিও করা হয়েছিল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে৷ সেখানেও একই বয়ান ছিল৷ চুক্তিপত্রে সই ছিল অন্তত ২৪ জনের৷ পরপর এই দুই বাজি নিয়ে রীতিমত হইচই বেঁধে গিয়েছে পুরুলিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই চুক্তিপত্র৷ ভোটের ফলাফলের দিন, ২৩ মে, যত এগিয়ে আসছে, এই কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে উত্তাপ ততই যেন বাড়ছে। তার উপর এধরনের বাজি ধরার খেলা৷ চাপ বাড়ছে নির্বাচন কমিশন তথা প্রশাসনের। তবে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ থাকাকালীনও যেভাবে লাখ-লাখ টাকার বাজি চলছে, তাতে কমিশনের ভূমিকায় হতবাক জেলার রাজনৈতিক দলগুলি। সব দলই বাজি ধরার বিরোধিতায় এককাট্টা৷ তাই এই বিষয়টি রোধে কমিশনকে পদক্ষেপ করার আরজি জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই৷কিন্তু আমজনতার উৎসাহে তাতে ভাটা পড়ছে না৷ আর যাঁরা এধরনের অনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক দলই সেভাবে মুখ খুলছে না।

Advertisement

পুরুলিয়া আসনে এবার শাসকদল তৃণমূল এবং প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসা বিজেপির মধ্যে যাকে বলে ‘কাঁটো কা টক্কর’ চলছে৷ জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এই কঠিন লড়াইয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে যে কেউ খুব কম ব্যবধানে জিতবে। যা কোনওভাবেই আগে থেকে বুথভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে বোঝা যাচ্ছে না৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: উৎসব হোক শিকার বাদ দিয়ে, বুদ্ধপূর্ণিমার আগে অযোধ্যা পাহাড়বাসীকে বার্তা প্রশাসনের]

জঙ্গলমহলের এই জেলায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল বেশ ভাল ছিল, যা শাসকদলকে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয়৷ তাই গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং তাঁরা এই আসনটিকেই ‘পাখির চোখ’ করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের ভুল শুধরে লোকসভার ময়দানে উন্নয়নকে সঙ্গী করে বেশ শক্তি নিয়েই নেমেছিল তৃণমূল। তাঁদের দাবি, পুরুলিয়া আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। আর এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মধ্যেই জেলায় সরগরম হয়ে উঠছে বেটিং বাজার৷ পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ