Advertisement
Advertisement
দীনেশ ত্রিবেদী

‘অর্জুন আমার কাজ সহজ করে দিয়েছে’, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দীনেশ ত্রিবেদী

ভোটে জিতে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে পোড়খাওয়া রাজনীতিক৷

TMC candidate Dinesh Trivedi attacks BJP candidate Arjun sing
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 3, 2019 3:25 pm
  • Updated:May 3, 2019 6:43 pm

শুভময় মণ্ডল: পঞ্চম দফায়, আগামী সোমবার বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ৷ তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী বনাম বিজেপির অর্জুন সিংয়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই৷ বিরোধী নিয়ে যদিও বিশেষ চিন্তাভাবনা করতে নারাজ দীনেশ ত্রিবেদী৷ উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেই পোড়খাওয়া রাজনীতিকের বিশ্বাস, তিনি এবার হ্যাটট্রিক করছেনই৷

[ আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে তর্কাতর্কি, তৃণমূল কাউন্সিলের ছেলেকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার]

২০০৯ সালে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী৷ ২০১৪তেও সফল সাংসদ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন৷ তাই তৃণমূলের তরফে এবারের লোকসভা নির্বাচনে দীনেশ ত্রিবেদীকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর বিরোধিতা করে বিজেপির হয়ে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন অর্জুন সিং৷ দলবদলকারী অর্জুনের গড়ে দীনেশ দাঁত ফোটাতে পারবেন কিনা, সেই নিয়ে রাজনীতিকদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷ তবে রাজনীতির কারবারিরা যাই বলুন না কেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না তৃণমূল প্রার্থী৷ নাম না করে অর্জুনকে রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থীর জন্য জয় আরও সহজ হয়ে গিয়েছে৷ একদিকে পিস্তল-বন্দুক আর অন্যদিকে কলম৷ সাধারণ মানুষ কখনও চাইবেন না বাচ্চারা বালিশের নিচে পিস্তল রেখে ঘুমোক৷ তাঁরা চান বাচ্চাদের পকেটে কলম থাক৷ চাইবেন শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকুক৷ শান্তি হলে স্কুল,কলেজ হবে৷ শিক্ষার বিকাশ হবে৷ মা-বোনেরা চিন্তা করবেন না৷’’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফণীর জেরে বাতিল জনসভা, খড়গপুর থেকে পরিস্থিতিতে নজর মুখ্যমন্ত্রীর]

তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, দশ বছর আগেও সেভাবে বারাকপুরের উন্নয়ন হয়নি৷ সরু রাস্তা, পানীয় জলের অভাব সব মিলিয়ে অভিযোগের অন্ত ছিল না স্থানীয়দের গলায়৷ তবে বর্তমানে চেহারা বদলে গিয়েছে শিল্পাঞ্চলের৷ স্থানীয়দের দাবি, এলাকার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে৷ অভিযোগের ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে উন্নয়ন৷ এই মন্ত্রে এবার লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী অনায়াসে পার করবেন বলেও আশাবাদী বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী৷ ভোটের ব্যবধান নিয়ে তাই কোনও হিসেবনিকেশই করছেন না৷ সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের জন্য আরও একটি সুযোগ চান বিদায়ী সাংসদ৷ দুঁদে রাজনীতিক হওয়া সত্ত্বেও টিমওয়ার্কেই বিশ্বাসী বর্ষীয়ান নেতা৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলায় যান৷ প্রশাসনিক বৈঠক করেন৷ সাংবাদিকরাও সেখানে উপস্থিত থাকেন৷ বৈঠকে আমাদের স্বচ্ছতা রয়েছে৷  উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে৷’’ শুধু তিনিই নন, দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেও আশাবাদী বর্ষীয়ান নেতা৷

Advertisement

দেখুন সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ