ধীমান রায়, কাটোয়া: ভোট মিটলেও অশান্তি থামছে না পূর্ব বর্ধমানে। এবার কাটোয়ায় আক্রান্ত খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় ৬ জন বিজেপি সমর্থকের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলরের ছেলে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
[আরও পড়ুন: জোটেনি চাকরি, অভিষেকের সভায় ব়্যাফের নকল উর্দি পরে গ্রেপ্তার যুবক]
কাটোয়া পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝর্না হালদার। তাঁর ছেলে সুদীপ কাটোয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। একসময়ে কলেজের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়ার মরিঘাটের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলেন সুদীপ। তখন ওই চায়ের দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন বিজেপি সমর্থকও। আচমকাই দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, তর্কাতর্কি চলাকালীন তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। সকলেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়া থানায় ৬ জন বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত সুদীপ হালদার। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের কাছে প্রথমে দু’হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল বিজেপি সমর্থকরা। রাজি না হওয়ায় আমার এক বন্ধুকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে শুরু করে ওরা। প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার বন্ধুদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়।’ অন্যদিকে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা(গ্রামীণ)সাধারণ সম্পাদক অনিল দত্তের প্রতিক্রিয়া, ‘শুনেছি, চায়ের দোকানে বন্ধুদের মধ্যে তর্কাতর্কি থে্কে হাতাহাতি হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে, বন্ধুদের ঝামেলাকেও রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
ছবি: জয়ন্ত দাস