BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ইভিএম কারচুপির প্রতিবাদ করে কাটোয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: May 2, 2019 6:29 pm|    Updated: May 2, 2019 6:29 pm

BJP worker attacked in Katwa allegedly by TMC cadres

ধীমান রায়, কাটোয়া:  ইভিএমে বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীর বোতাম ব্ল্যাক টেপ দিয়ে চাপা দেওয়া৷ সোমবার, পঞ্চম দফা নির্বাচনের সময় তা দেখার পর বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারের নজরে আনেন এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, ভোট শেষে  দফায় দফায় ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করে গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ কাটোয়ার রাজোয়া গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু প্রধান নামে ওই বিজেপি কর্মী এখন সপরিবারে পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রামে ফিরলেই হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। আতঙ্কে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারছেন না।

[আরও পড়ুন: পানীয় জলের দাবিতে নোদাখালিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, লাঠিচার্জ পুলিশের]

কাটোয়ার রাজোয়া গ্রামে বাড়ি পেশায় রাজমিস্ত্রী পিন্টু প্রধানের। তিন ভাইয়ের আলাদা পরিবার। পিন্টুবাবুর স্ত্রী আশা প্রধান জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী রাজনীতির সঙ্গে তেমনভাবে যুক্ত ছিলেন না। তবে সম্প্রতি বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে ভোটের প্রচারে নেমেছিলেন৷ কাটোয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজোয়া গ্রামে ২৬৪ নম্বর বুথের ভোটার পিন্টু প্রধানরা। তাঁর অভিযোগ, সোমবার তিনি ভোট দিতে গিয়ে দেখতে পান ইভিএমে বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীর নাম, প্রতীকের উপরে কালো কাগজে আঠা দিয়ে ঢাকা দেওয়া৷ ভোটারদের চোখে ধুলো দিতে ওই দুই দলের প্রতীক এভাবে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ পিন্টুর অভিযোগ, ‘ আমি ভোট দিতে গিয়ে ব্ল্যাকটেপ সেঁটে রাখার বিষয়টি দেখে সঙ্গে সঙ্গে বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি। তিনি উঠে এসে টেপটি খুলে দেন। তারপর ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যাই। ভোট শেষ হতেই সন্ধ্যা থেকে তার প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।’ আশাদেবীর অভিযোগ, ‘ সোমবার সন্ধেবেলা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। স্বামী কেন অভিযোগ করে ব্ল্যাটে খুলিয়েছেন, কৈফিয়ত চেয়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারে।’

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টু প্রধানকে স্থানীয় কয়েকজন মারধর করে চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরাও ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছিলেন না। তাই বাড়িতেই রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকেন পিন্টু। আশাদেবী কোনওক্রমে ফোন নম্বর জোগাড় করে প্রশাসনের কাছে জানান। তাতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পিন্টু প্রধান ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে৷ ভরতি করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে৷

[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা]

বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পিন্টুবাবু, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন বাঁদরা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এদিন পিন্টু প্রধান বলেন, ‘তৃণমূলের লোকজন ফোনে হুমকি দিচ্ছে। গ্রামে গেলেই হাত-পা কেটে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তাই বাড়ি ফিরতে পারছি না। কাজকর্মও বন্ধ।’ কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার কিছুই জানেন না৷ তাঁর আরও দাবি, ‘মনে হয় পারিবারিক কোনও ঝামেলার কারণেই ওরা গ্রামছাড়া হয়েছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’  আর পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামছাড়া হওয়া কিংবা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি৷

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে