সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে উত্তপ্ত নোদাখালি। জানা গিয়েছে, পানীয় জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে পথ অবরোধ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার বিড়লাপুরের বাসিন্দারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা]
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত পাঁচ বছর ধরে জলের সমস্যা নিত্যসঙ্গী চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। শুধু ওই গ্রামই নয়, দাসপুর, রায়পুর-সহ আশেপাশের প্রায় পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। আর তাপমাত্রার পারদ বাড়তেই জলের অভাব মারাত্মক আকার নিয়েছে। অভিযোগ, এ বিষয়ে একাধিকবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। শুধু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু আদতে কিছুই হয়নি। অথচ ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলপ্রকল্প। তাঁরা জানান, বছর পাঁচেক আগেও ওই গ্রামে মানুষ ভালই জল পেতেন। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে হঠাৎই জল নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জলের আকাল।
[আরও পড়ুন: জোড়া মাথা সদ্যোজাতের! জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুতে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরে]
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ। প্রথমে স্থানীয়দের অবরোধ তুলে নিতে বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। স্থানীয়রা তাতে রাজি না হওয়ায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, ঘটনার ছবি সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদেরও। গোটা ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় ওই এলাকা। বেশ কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডোঙারিয়া জলপ্রকল্পের দ্বিতীয় দফার কাজ চলছে। তাই এলাকাভিত্তিক বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে জল পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই এই সমস্যা। তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।