রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: ভোট দিতে গিয়েই প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল মন্তেশ্বরের অন্তঃসত্ত্বা ভোটারের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জন্ম দেন এক ফুটফুটে কন্যার। সাতপাঁচ না ভেবে প্রিয় নেত্রীর নামেই মেয়ের নাম ঠিক করেন বাবা-মা। একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার নামেই মেয়ের দুই নাম রাখেন, মমতা ও মমতাজ। আর সেই কথা জানতে পেরেই মঙ্গলবার সকালে ছোট্ট শিশু কন্যাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা।
স্বয়ং প্রার্থী যে শিশুটির কথা শোনামাত্রই ছুটে চলে আসবেন, সে কথা ভাবতেও পারেননি পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা। গোটা দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকলেন মন্তেশ্বর হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকরা। হাসপাতালে এসে শিশুটিকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠলেন প্রার্থী মমতাজ। কখনও কোলে নিয়ে আদর করলেন, কখনও ছোট্ট মমতার কান্না থামানোর চেষ্টা করলেন, কখনও আবার আঙুলে আঙুল মেলালেন। দিলেন খেলনাও। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে কোনও দরকারে ওই শিশু ও পরিবারের পাশে থাকবেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের, মালিকের ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা কর্মচারীর ]
মমতাজ সংঘমিতা ওই হাসপাতালে এসে বলেন, “শুনলাম আমার ও মুখ্যমন্ত্রীর নামে নাম রেখেছেন ওঁরা। খুবই ভাল লাগছে। সাধারণ মানুষের কাছে এমন ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এরাই মানুষের জন্য লড়াই করার প্রেরণা দেয়।” তিনি আরও বলেন, “এই সংবাদটি পাওয়ামাত্রই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওই শিশুটিকে দেখতে যাব। আজ চলেও এসেছি। ওর মা ফিরোজা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও ভোট দিতে এসেছিল, এটা গণতন্ত্রের জয়। গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের ভালবাসা। আমাদের দলের প্রতি মানুষের ভালবাসা।” ওই শিশুর বাবা সুরাফুদ্দিন শেখ ও মা ফিরোজা বিবি বলেন, “আমরা মমতা দিদির তৃণমূলের ভাল কাজ দেখে এই দলে এসেছি। ভোটের দিনে মেয়ে জন্ম নেওয়ায় এই নাম রেখেছি। তারপর আজ আমাদের মেয়েকে দেখতে প্রার্থী চলে আসবেন তা ভাবতেও পারিনি। এতে দল ও নেত্রীদের প্রতি ভালবাসা আরও বেড়েও গেল।” তবে, শেষে প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা মজার ছলে বলে গেলেন, “জানি না ছেলে হলে কী নাম দিত।”
ছবি- মোহন সাহা
[ আরও পড়ুন: রাজ্যে গরমের বলি এক, পুরুলিয়ায় মারা গেলেন এক পুলিশকর্মী ]