Advertisement
Advertisement
বেআইনি জলের ব্যবসা

সংকটের মাঝে দুর্গাপুরে রমরমিয়ে জলের অবৈধ ব্যবসা, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর

অগভীর নলকূপ খুঁড়ে বেআইনিভাবে তোলা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ জল।

TMC councillor allegedly runs illegal water business in Durgapur
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 11, 2019 6:07 pm
  • Updated:July 11, 2019 6:14 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর:  রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়ার উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের।  খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ‘জল বাঁচান, জীবন বাঁচান’ দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন, তখন দুর্গাপুরে রীতিমতো সিন্ডিকেট করে বেআইনিভাবে জল বিক্রির অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরই৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু চেষ্টা করেও বেআইনি জলের ব্যবসা বন্ধ করতে পারেনি পুরনিগম, এমনকী পুলিশও। যদিও জলের বেআইনি ব্যবসা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুর্গাপুর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর  নিজাম হোসেন মণ্ডল।

[আরও পড়ুন: অজয়ের স্রোতে ভেসে গেল ফেরিঘাট, বন্ধ নৌ-চলাচল]

বছর দুয়েক আগে দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারাজের একটি লকগেট ভেঙে যায়। লকগেট মেরামতির জন্য তখন ব্যারাজের জলাধার জলশূন্য করে ফেলা হয়। তীব্র জল সংকট দেখা দেয় দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,  শিল্পনগরীতে জল সংকট মেটাতে দু নম্বর ওয়ার্ডের ধবনী গ্রামে চারটি অগভীর নলকূপ খুঁড়ে জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, ওই নলকূপগুলি আর বন্ধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। উলটে ওই অগভীর নলকূপের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে বিক্রি করা হচ্ছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোদ দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম হোসেন মণ্ডলের নেতৃত্বে দুর্গাপুরে জলের অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে সাতজন। ধবনী গ্রামের চারটি অগভীর নলকূপ থেকে জল তুলে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দিনে চারশো ট্যাঙ্ক জল সরবরাহ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এখন অবশ্য  সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে টাকা নিয়ে গন্ডগোলের কারণে ব্যবসা বন্ধ আছে। তবে গন্ডগোল মিটলেই ফের ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

দুর্গাপুর পুরনিগম কেন ভূগর্ভস্থ জলের এই বেআইনি ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,  বেশ কয়েক বছর আগে ধবনী গ্রামে অগভীর নলকূপগুলি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল দুর্গাপুর পুরনিগম। এমনকী, পুলিশও হস্তক্ষেপ করেছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। এদিকে দুর্গাপুরে বেআইনি জলের ব্যবসা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিল নিজাম হোসেন মণ্ডল।  কাউন্সিলরের দাবি,  তিনি নিজেই মেয়রকে জলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু মেয়র কোনও পদক্ষেপ করেননি।

Advertisement

ছবি: উদয়ন  গুহরায়৷

[আরও পড়ুন: মাঝসমুদ্রে মিরাকল! লাইফ জ্যাকেট-খাবার ছাড়া ৫দিন সাঁতরে বেঁচে ফিরলেন মৎস্যজীবী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ