Advertisement
Advertisement
Chokher Alo TMC government

১৭ দিনে আড়াই লক্ষ মানুষের চক্ষু চিকিৎসা, ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্য কর্তারা

প্রত্যন্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়ে চোখ ধাঁধানো সাফল্য।

TMC government's 'Chokher Alo' project a huge success in rural Bengal

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 23, 2021 10:00 am
  • Updated:January 23, 2021 10:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: ‘চোখের আলোয়’ ভোজবাজি দেখাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। মাত্র সতেরো দিনে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের ঘরে গিয়ে চক্ষুরোগের চিকিৎসা করে তারা দেখিয়ে দিয়েছে, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রকল্পটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর, গত সতেরো দিনে পশ্চিমবঙ্গের কোণে কোণে মোট ২ লক্ষ ৫৹ হাজার ৭৩১ ‘চোখের আলো’র (Chokher Alo) আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। এবং সে জন্য তাঁদের হাসপাতালে গিয়ে হত্যে দিতে হয়নি। বাড়ির দোরগোড়ায় অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। উল্লেখ্য, প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বড় অংশই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার। ৫২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৮৫টি পুর-এলাকায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষের চোখে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে এই প্রকল্প।

এহেন ঈর্ষণীয় সাফল্যের খতিয়ানে চোখ রেখে চমকে উঠেছেন দফতরের শীর্ষ কর্তারাও। ৪ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee ) নবান্ন থেকে ‘চোখের আলো’ প্রকল্প ঘোষণা করেন। উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যের সব নাগরিক যাতে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পান। পরদিনই রাজ্যজুড়ে শিবির শুরু হয়। আগামী তিন মাস ধারাবাহিক শিবির চলবে। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকায় চক্ষু পরীক্ষার শিবিরে হাজির হচ্ছেন। ছানি কাটা, চশমা দেওয়ার পাশাপাশি চোখের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সুরাহা হচ্ছে সেখানে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজীবের ছেড়ে যাওয়া বনদপ্তরের দায়িত্বে আপাতত মুখ্যমন্ত্রী, খবর নবান্ন সূত্রে]

স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, ধারাবাহিক ভাবে এই কর্মসূচি চলবে। কর্তাদের বক্তব্য, চোখের আলো প্রকল্পে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। ওই জেলায় প্রায় ২৫ হাজার নাগরিক পরিষেবা পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে হুগলি, পরিষেবা পেয়েছে ১৬ হাজার নাগরিক। তিন নম্বরে নদিয়া (Nadia) জেলা। ‘চোখের আলো’র চোখ ধাঁধানো সাফল্য দেখে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালকে এই কর্মসূচি শুরু করতে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রকল্পে অংশ নেওয়া সব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এককালীন সাম্মানিক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ