সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ধাঁচে এবার পঞ্চায়েত স্তরেও জনসংযোগে জোর দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। পঞ্চায়েত এবার মানুষের ঘরে ঘরে। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথম এই কর্মসূচি সূচনা হল। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পান্ডবেশ্বর ব্লক থেকে শুরু হবে ‘পঞ্চায়েত এল আপনার দ্বারে’ নামের এই কর্মসূচি। যার শুভারম্ভ করেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপর গোটা জেলায় চলবে এভাবে জনসংযোগের কাজ।

বিগত এক বছরে পঞ্চায়েতে কী কী কাজ হয়েছে কিংবা কোন কাজ হয়নি, তা খতিয়ে দেখতেই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, প্রধান ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন। ঘরে ঘরে গিয়ে কাজের খতিয়ান নেবেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে তাঁদের পরমার্শ নেবেন, পাশাপাশি অভিযোগও শুনবেন। শনিবার পান্ডবেশ্বরে ‘পঞ্চায়েত এল আপনার দ্বারে’ এই কর্মসূচির সূচনা করে একথা জানিয়েছেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। শনিবার পান্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এলাকার সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠকে এই কর্মসূচি সফল করতে পরিকল্পনা স্থির হয়।
[আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদের সঙ্গে এক মঞ্চে, শোকজের মুখে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক]
পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন, সপ্তাহে তিন দিন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। সরকারি পরিষেবা সর্বস্তরে পৌঁছেছে কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নেবেন। সপ্তাহে একদিন সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠকে যোগ দিয়ে রিপোর্ট দেবেন। তিনি আরও জানান, “এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে, সর্বস্তরে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া ও সব মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা পান, তা সুনিশ্চিত করা। পান্ডবেশ্বরের পর এই কর্মসূচি পালন করা হবে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকেও। পরে ধীরে ধীরে জেলার অনান্য ব্লকেও এটি চালু করা হবে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, পশ্চিম বর্ধমানে এমনিতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। সেখানে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করে জনগণের আরও কাছে পৌঁছতে ‘দিদিকে বলো’ ধাঁচে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার সুফল পাওয়াই লক্ষ্য শাসকদলের।