Advertisement
Advertisement

গুলি-ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্যানিংয়ে খুন তৃণমূল নেতা, কাঠগড়ায় বিজেপি

একই দিনে দুই খুন, জেলা তৃণমূলের বড় ধাক্কা।

TMC leader murdered in Canning

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 25, 2019 10:36 am
  • Updated:February 25, 2019 10:36 am

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর : কুলতলির পর ক্যানিং। রবিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুন এক তৃণমূল নেতা, এক সক্রিয় কর্মী। এদিন রাতে ক্যানিং থানা এলাকার সাতমুখি বাজারের কাছে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে এবং কুপিয়ে খুন করে শাসকদলের তরুণ নেতা কার্তিক নস্কর ওরফে রাজুকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কার্তিক নস্কর নামে বছর ছাব্বিশের ওই তৃণমূল নেতাকে বাজারের কাছে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। তারা বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রথমে কার্তিককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে রাস্তায় ফেলে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই গুরুতর আহত অবস্থায় কার্তিককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।রবিবার রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement
[কুলতলিতে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এলাকায়]

ক্যানিংয়ের তাঁড়িয়া অঞ্চলের প্রধান শবনম নস্করের স্বামী কার্তিক নস্কর। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল নেতা ছিলেন। তাঁর মা-ও একসময় ওই অঞ্চলের প্রধান ছিলেন বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে খবর। এই খুনের ঘটনার পর ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম থেকে আসা নব্য বিজেপির কর্মীরাই কার্তিককে খুন করেছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বিধায়ক। যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পূর্ব) বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীল দাস। তাঁর পালটা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই খুন হয়েছেন কার্তিকবাবু। এই ঘটনায় বিজেপির কেউ জড়িত নয়। এদিনের এই ঘটনার পরই ক্যানিংয়ের সাতমুখি বাজারে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কে বা কারা স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে খুন করল, তার তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। নানা তথ্য, প্রমাণ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

Advertisement

[খুনের হুমকি দিচ্ছে আরএসএস, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার]

অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া এলাকায় চায়ের দোকানে খুন হন তৃণমূল কর্মী সুরত মণ্ডল।  দুটি মোটর বাইকে ছ’জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরপর তিনটি গুলি চালানো হয় সুরতকে লক্ষ্য করে। দুটি গুলি শরীরে ঢুকে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুরত লুটিয়ে পড়েন চায়ের দোকানের সামনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুলতলির জামতলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত ব্যাক্তির বুকে ও কানে দুটি গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইদিনে জেলার প্রায় একই অঞ্চলে পরপর দুই তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চিন্তিত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ