ধীমান রায়, কাটোয়া: দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লোকসভা ভোট হয়ে গেল। ভোট দেওয়ার পর আঙুলে কালি দাগ দেখিয়ে ছবিও তুললেন সেলিব্রিটি ও নেতা-মন্ত্রীরা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে কিন্তু ভোটারদের আঙুলে কালির ছাপ দেখতে আগ্রহী ছিলেন না কেউ। বরং আঙুলের গন্ধ শুঁকলেন তৃণমূলকর্মীরা!
[ আরও পড়ুন: বেড-টি পেতে দেরি, সকাল থেকে আসানসোলের কোনও খবরই জানেন না মুনমুন]
চতুর্থ দফা লোকসভা ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে নজরবন্দি করে রেখেছিল কমিশন। কিন্তু, তাতেও অশান্তি এড়ানো যায়নি। বস্তুত, দিনভর খবরের শিরোনামে ছিল বীরভূমই। আর এই জেলারই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভা। এই বিধানসভা এলাকায়ও তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হুমকিতে কি আদৌও কাজ হল? তা যাচাই করতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
আউশগ্রামে বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতে ভোতাগ্রামে চারটে বুথে ভোটার প্রায় হাজার চারেক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ভোটকর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে চারটে বুথেই ইভিএমে বিজেপির বোতামে আতর লাগিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। সকালে যিনিই ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরোচ্ছিলেন, তাঁরই আঙুল শুঁকিয়ে দেখছিলেন তাঁরা। আতরের গন্ধ পেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। শেষপর্যন্ত সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আউশগ্রামে ভোতাগ্রামে গিয়ে চারটের বুথের ইভিএম থেকে আতর মুছে ফেলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
অলঙ্করণ: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়