Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাজ আটকে

তৃণমূলের ‘ডার্টি পলিটিক্স’এ থমকে কাজ, সংসদের প্রথমদিনই অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়র

সাংসদ তহবিলের টাকা কাজে লাগাচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব, অভিযোগ বাবুলের৷

TMC's 'dirty politics' stops all developement work,complains Babul Supriyo
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 17, 2019 9:35 pm
  • Updated:June 17, 2019 9:35 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়,আসানসোল: সংসদে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হল সোমবার থেকে। শপথ নিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর এদিনই তিনি অভিযোগ তুললেন, সাংসদ হিসাবে উন্নয়নের তহবিলে টাকা দেওয়া সত্বেও তৃণমূল ‘ডার্টি পলিটিক্স’ করে তাঁর ৯০ শতাংশ কাজই আটকে দিয়েছে৷ এলাকার রাস্তা, বাসস্ট্যান্ডের জন্য দেওয়া প্রায় ৪ কোটি টাকার কাজ একেবারে থমকে আছে।

[আরও পড়ুন: স্থানীয় না বহিরাগত? করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে জল্পনা]

আসানসোলের দ্বিতীয়বারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যে এলাকার উন্নয়নে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন, সেই সমস্ত প্রকল্পগুলিই আসানসোল পুরনিগম এলাকার অন্তর্গত৷ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পুরনিগম ও মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দিকে। সাংসদ তহবিলের ২৫ টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য ও বাজেট  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। থেমে থাকা এই প্রকল্পগুলির রিপোর্ট পাঠিয়ে কাজ চালুর কথা বলেন তিনি।

Advertisement

২০১৪ সালে প্রথমবার আসানসোলে সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। ভোটের সময় থেকেই পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে তাঁর সংঘাতের সকলের জানা। পরের বছর, ২০১৫ সালে আসানসোল বৃহত্তম পুরনিগম তৈরি হওয়ার পর মেয়র পদে বসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখন থেকেই ফের আদায়- কাঁচকলায় সম্পর্ক হয় বাবুল এবং জিতেন্দ্রর মধ্যে৷ মেয়র-সাংসদ লড়াইয়ে থমকে যাওয়ার কাজগুলির কথাই সোমবার বাবুল সুপ্রিয় তুলে ধরেন জনসমক্ষে। বিস্তারিত তুলে ধরে তার কৈফিয়েত চান পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুরনিগমের কাছে।

Advertisement

দেখা গিয়েছে, প্রকল্পগুলির মধ্যে রানিগঞ্জ, সালানপুর, পাণ্ডবেশ্বর, অণ্ডাল ও বরাকরে ৬ টি বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছিলেন।২০১৫-১৬ র সংসদ তহবিলে এই টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। জেলাশাসক ৭৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে সাংসদের কাছে পাঠাবেন, এমনই ঠিক ছিল৷ কিন্তু রিপোর্ট পৌঁছায়নি সাংসদের কাছে। হ্যাঁ বা না কোনও উত্তর না পাওয়ায় সেই প্রকল্প ওইভাবেই আটকে থাকে। একইভাবে আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, কুলটি ও হীরাপুরে বিভিন্ন রাস্তার জন্য তিনি সাংসদ তহবিল থেকে টাকা মঞ্জুর করেছিলেন। মোট ২০ টি কংক্রিটের রাস্তার জন্য সাড়ে ৩ কোটি টাকার মত বরাদ্দ করেছিলেন। এক একটি রাস্তা ৬ লক্ষ থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ ছিল। কিন্তু এই রাস্তাগুলোরও রিপোর্ট সাংসদের কাছে না পৌঁছানোয় পুরো টাকাটাই আটকে থাকে।

[আরও পড়ুন: দলেরই কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন তৃণমূল কাউন্সিলররা!]

বিজেপির এমপি-ল্যাড ফান্ড দেখভাল করেন প্রশান্ত চক্রবর্তী। পশ্চিম বর্ধমান জেলা সহসভাপতি প্রশান্তবাবু বলেন, বাবুল সুপ্রিয়র উন্নয়নমুখী কাজগুলি নিয়ে হয়রানি চলছে গত পাঁচ বছর ধরেই। সব থেকে বেশি হয়রানি হচ্ছে পুরনিগম এলাকায়। কারণ, সাংসদ যে টাকাগুলি রাস্তার জন্য বরাদ্দ করেছেন সেগুলি নিয়ে বেশিরভাগ সময় জেলাশাসকের অফিস থেকে রিপোর্ট যায়নি। তিনিও মনে করেন, মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজে নোংরা রাজনীতি করেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরনিগম। শুধু তাই নয়, এরকম সমস্যা হয়েছে পঞ্চায়েত এলাকাতেও।

তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি বলেন, ‘উনি শুধু চিঠিই পাঠিয়েছেন। কোনও টাকা কেন্দ্র থেকে আনতে পারেননি। চিঠি পাঠানো আর ফান্ড আনার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক আছে। শুধু চিঠি পাঠিয়ে উন্নয়ন হয় না।’ মেয়র আরও বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি উনি কেন্দ্র থেকে ফান্ড নিয়ে আসুন পুরনিগমে। দশদিনের মধ্যে সেই কাজ আমরা করে ওনাকে ফিতে কাটিয়ে দেব।’ জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, উনি এসব পোস্ট করে সস্তা রাজনীতি করছেন শুধু।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ