Advertisement
Advertisement

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, ৫ বছরের শিশুকে খুন জেঠিমার

খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে শিশুর জেঠিমা ও তার দুই জেঠতুতো দাদাকে৷

Toddler murdered for property
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 5, 2019 2:04 pm
  • Updated:January 5, 2019 3:58 pm

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, রক্ষা পেল না শিশুও৷ শ্বাসরোধ করে বছর পাঁচেকের শিশুকে খুনের অভিযোগ উঠল তার জেঠিমা ও জেঠতুতো দাদার বিরুদ্ধে৷ নৃশংস এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নরেন্দ্রপুরে৷

[বিজেপির পাশে নেই গোর্খা, পাহাড়ে ‘একলা চলো’ নীতি তামাংয়ের]

বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল বছর পাঁচেকের শাহারাত আব্বাসি৷ সন্ধে হয়ে গেলেও খেলে বাড়ি ফেরেনি সে৷ পরিবারের লোকজনেরা শিশুর খোঁজ শুরু করে৷ ঘণ্টাতিনেক খোঁজাখুঁজির পরেও শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ জগৎবল্লভপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়৷ শিশুর মা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ার নেপথ্যে শিশুর জেঠিমার যোগসাজশ রয়েছে৷ সেই অনুযায়ী সাহাদান নামে ওই শিশুটির জেঠিমা ও তার দুই জেঠতুতো দাদাকে জেরা শুরু করে পুলিশ৷ তাদের তিনজনের বয়ানে মেলে একাধিক অসঙ্গতি৷ এরপর শুক্রবার গভীর রাতে ওই তিনজন স্বীকার করে শিশুকে খুন করেছে তারা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, জেঠিমা এবং জেঠতুতো দাদারা অভিযুক্তরা জানায় বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুর দেহ৷ সেই অনুযায়ী ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ মেলে শাহারাতের বস্তাবন্দি নিথর দেহ৷ তার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ শিশুর দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের দাগ৷

Advertisement

[একটানা স্বাভাবিকের নিচে পারদ, জানুয়ারিতেও রেকর্ডের পথে শীত]

দীর্ঘদিন ধরে সাহাদানের বাবা ও জেঠুর মধ্যে সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল৷ তার জেরে দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত৷ তবে জেঠতুতো দাদাদের সঙ্গে মেলামেশা করত শাহারাত৷ সেই সুযোগেই খেলাধূলার পর ছোট্ট শাহারাতকে ডেকে পুকুরের পাড়ে আনা হয়৷ এরপর শ্বাসরোধ করে তার জেঠিমা ওই শিশুকে খুন করে৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য বস্তাবন্দি করে পুকুরের পাড়ে ফেলে দেওয়া হয় শাহরাতের দেহ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে স্বীকার না করলেও, টানা পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে তিনজন৷ এরপরই একে একে অপরাধ কবুল করে নেয় তারা৷ বাবার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদের পরেও কেন শিশুটিকে টার্গেট করল অভিযুক্তরা তা জানার জন্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার চিন্তাভাবনা করছেন তদন্তকারীরা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ