সুকুমার সরকার ও জ্যোতি চক্রবর্তী: পুজোর মরসুমে বঙ্গবাসীর পাতে পড়বে পদ্মার ইলিশ। আগেই সেই উপহারের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই কথা রেখে বুধবারই বাংলার উদ্দেশে রওনা দিল ২৩ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ (Hilsha)। এর মধ্যে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনটি ট্রাকে করে ১৬ টন ইলিশ এল রাজ্যে।
বুধবার বিকেল ৫টায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইলিশের ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ৫টি ট্রাকে করে ২৩ মেট্রিক টন ইলিশ দুপুরে এসে পৌঁছয় বেনাপোল বন্দরে।
কাস্টমস ও বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন। এদিন বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার সাউদার্ন ফুড লি. ১৩ মেট্রিক টন ও ঢাকার ইউনিয়ন ভেন্টার লি. ১০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছে। কলকাতার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেকে ইন্টারন্যাশনাল ও সিদ্ধেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ গ্রহণ করেছে। এসব ইলিশের সাইজ এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের।
২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ ভারতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয় শেখ হাসিনা সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রক রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়। ইলিশ রপ্তানির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক মো. ইশতাদুল হক জানান, দুর্গাপুজো উপলক্ষে বুধবার বিকালে থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের আধিকারীকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছিল সরকার। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর পুজোর আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে। এবারও তার অন্যথা হয় না। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.