রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভোট পরিচালনার জন্য নন্দীগ্রামে দু’টি দপ্তর খুলছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকে খোলা হচ্ছে ওই দু’টি অফিস। ২০০৯ সালের এলাকা পুনর্বিন্যাসের পর নন্দীগ্রাম-১ এবং ২ নম্বর ব্লক নিয়ে তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা। ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই ভোটের কাজ সক্রিয়ভাবে পরিচালনার জন্য দু’টি ব্লকে দু’টি পৃথক অফিস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামে খোদ মমতার জন্যও বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা ভাবছে শাসকদল।
গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভা থেকে নিজের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ওইদিন নন্দীগ্রামের তেখালি মাঠের জনসভা শেষ হতেই ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক শিবিরে। কিন্তু নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূলে প্রস্তুতি একটু বেশিই। কারণ, সেখানে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ আবার রীতিমতো হেভিওয়েট। সব ঠিক থাকলে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যিনি আবার মমতাকে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন।
তাই শাসকদলের রাজ্যস্তরের নেতারা প্রায় নিয়ম করে নন্দীগ্রামে যাতায়াত শুরু করেছেন। সেই ঘটনাপ্রবাহ মেনেই ভোট পরিচালনার জন্য একজোড়া অফিস তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামে জোড়া অফিস খোলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতারা জানাচ্ছেন, নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকের রাজনৈতিক ও সামাজিক চরিত্র ভিন্ন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক যেমন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত, তেমনই আবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে সংখ্যাগুরুদের প্রাধান্য। তাই পৃথক দু’টি কার্যালয় থেকে পৃথক কৌশল এবং রণনীতি নিয়ে প্রচার-সহ যাবতীয় কাজকর্ম সারবেন নেতা-কর্মীরা। প্রার্থী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে এসেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামে ভোট পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। এছাড়াও নন্দীগ্রামে গিয়ে নির্বাচনের কাজকর্মে সহায়তা করতে বলা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে (Dola Sen)। উল্লেখ্য, দোলা নিজে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় অনেকবারই সেখানে গিয়েছেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে তিনি নিজেও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.