Advertisement
Advertisement
Tussle over BJP leader Suvendu Adhikari and Sukanta Majumdar over strike

বাংলা বন্‌ধ নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে মতবিরোধ, শুভেন্দুর উলটো সুরে সওয়াল সুকান্তর

বন্‌ধ নিয়ে ভিন্ন সুরের জেরে অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।

Tussle over BJP leader Suvendu Adhikari and Sukanta Majumdar over strike । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 28, 2022 10:06 pm
  • Updated:February 28, 2022 10:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরভোটে হিংসার প্রতিবাদে ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ নিয়ে বিজেপির অন্দরেই মতবিরোধ। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আচমকা বন্‌ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন তিনি। যদিও তাতে নারাজ খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, কোনও ঘটনা ঘটলে তার প্রতিবাদ কর্মসূচি সাতদিন পর করা যায় না। বন্‌ধ নিয়ে ভিন্ন সুরের জেরে অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।

রাজ্যের পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি বলেই দাবি বিজেপির। আর তারই প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেয় তারা। তবে বেলা ১২টার পরই বন্‌ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, হঠাৎ করে বন্‌ধ ডাকার ফলে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সেকথা মাথায় রেখেই বন্‌ধ প্রত্যাহার করা হোক। শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বন্‌ধ তেমন প্রভাব ফেলতে না পারায় কি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত?

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার থেকে প্রতি রবিবার আরও সকালে মিলবে মেট্রো পরিষেবা, জেনে নিন সময়সূচি]

তবে তা মানতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির একাংশ। খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতির গলাতেই ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, “রবিবারের ভোটে যা হয়েছে তার প্রতিবাদে ৭ দিন পরে বন্‌ধ ডাকা যায় না। সে কারণেই হঠাৎ করে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে।” তবে বন্‌ধের ফলে সাধারণ মানুষের যে ভোগান্তি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুকান্তও। সে কারণে রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।

Advertisement

রাজ্য বিজেপিতে দলীয় কোন্দল নতুন নয়। জেলা কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার যেন হিড়িক লাগে। দলে থাকা সত্ত্বেও একের পর এক বিজেপি নেতা পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বন্‌ধ নিয়ে দলের মধ্যেই নানা সুর। রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যে আদৌ কারও সঙ্গে কারও মতের মিল, তা এভাবেই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে বিজেপির অন্দরের মতবিরোধই যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে অন্যান্যদের।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের দায় আমেরিকার উপর চাপিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল কিমের দেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ