দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রায় ১৩ বছর পর মিলল সুবিচার। বারুইপুর নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসির নির্দেশ নিল বারুইপুর অতিরিক্ত আদালত। ২০০৭ সালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর দোষী প্রমাণিত হয় ২ অভিযুক্ত। মঙ্গলবার তাঁদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা ছিল ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৭ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর। এদিন বারো বছরের এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তার খুড়তুতো দাদা সাবির আলি। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি কিশোরীকে। দু’দিন পর ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় এলাকার একটি পেয়ারা বাগানের কাছের পরিত্যক্ত জলাশয় থেকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সাবির আলি ও পালান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। মামলা শুরুর পর তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। জানা যায়, গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকাকে খুন করে অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করল বারুইপুরের অতিরিক্ত আদালত।
জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বনহুগলি এলাকায় বাড়ি দুই অভিযুক্তের। ২০০৭ সালের এই ঘটনায় সাবির ও পালান ছাড়াও আরও একজন নাবালক যুক্ত ছিল। বিচার চলাকালীন জুভেনাইল আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে যায় সে। দোষী সাব্যস্ত করা হয় বাকি দু’জনকে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২, ৩৭৯, ৩৬৩, ২০১, ৪০০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এদিন আদালতে সরকারি বিচারক তপন মণ্ডল বলেন, সংগঠিতভাবে অপরাধ করে ওই যুবকেরা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পর পুলিশের টিআই প্যারেডে নিহতের মা মেয়ের খোয়া যাওয়া কানের দুল দেখে চিনতে পারলে অভিযুক্তদের শনাক্তকরার প্রক্রিয়া শেষ হয়।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.