সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুলিয়ার জাতীয় সড়কে যানজটে কনভয় থমকে যাওয়ায় জেলাশাসকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় ‘অপমানিত’ হয়ে এবার রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত নিরাপত্তা ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বাবুল৷ অন্যদিকে, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশ প্রসাদ রায়৷ রাজ্য সরকারের কাছে জেলাশাসকের অভিযোগ দায়ের করায় চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাবুল৷
[খুনে অভিযুক্ত ছেলে পলাতক, অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার মা]
গতকাল অমিত শাহের সভার কারণে পুরুলিয়ার রাঁচি রোডে যানজটে কনভয় আটকে যাওয়ায় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন বাবুল সুপ্রিয়৷ খোদ জেলাশাসকের সঙ্গে তর্কে জড়ান মন্ত্রী৷ এই তর্কের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি৷ আজ ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট লিখে রাজ্য ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন৷ গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি৷ লেখেন, ‘‘আমি আমার গাড়িই ব্যবহার করি। রাজ্যে এলে রাজ্য সরকার পাইলট কার ও পুলিশি নিরাপত্তা দেয়৷ কিন্তু এখন থেকে তা আর চাই না৷ থাকব না সরকারি গেস্ট হাউসেও৷ সর্বত্র সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করছে রাজ্য সরকার৷ ফলে, আমি কোনও নিরাপত্তা বা সুযোগ-সুবিধা নেব না৷ আর আমি কখন আসছি বা কখন যাচ্ছি, তাও জানাব না রাজ্য সরকারকে৷’’
বাবুলের এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লেও বিতর্ক আরও বাড়ে জেলাশাসকের অভিযোগকে কেন্দ্র করে৷ জানা গিয়েছে, গতকালের গোটা ঘটনার কারণ জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন জেলাশাসক অলকেশ প্রসাদ রায়৷ জেলাশাসকের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷
[টিউশন পড়তে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে মারামারি, বোতলের আঘাতে ছাত্রের মৃত্যু]
অমিত শাহর সভার শেষে হঠাৎ কেন রেগে গেলেন বাবুল? জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর জনসভার পথে তাঁর কনভয় যানজটে আটকে যাওয়ায় জাতীয় সড়কের উপরই পুরুলিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অভিযোগ, পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশ প্রসাদ রায়কে হেনস্তা করেন বাবুল। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে প্রকাশ্যে যেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জেলাশাসক বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তার ভিডিও এখন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জেলাশাসককে বলছেন তিনি যেন নিজে গিয়ে ভিড় সামলে তাঁর সভায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই কথা জেলাশাসক শুনতে চাননি। জেলাশাসক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পালটা বলেন, তিনি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু তা মানতে চাননি মন্ত্রী। তখন জেলাশাসক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি রাজ্য সরকারের কর্মচারী। সরকারের নির্দেশ মানবেন। তবে যানজট সামলাতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিচ্ছেন। এইভাবে বচসা চলতেই থাকে তাঁদের।