ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) কোপে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। আবারও বাড়ল তাঁর সাসপেনশনের মেয়াদ। আরও এক মাসের জন্য সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ল। বিশ্বভারতী তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনিয়ম নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠির বিষয়বস্তু যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakrabarty) ‘দুর্নীতি’। পাঠভবনে অধ্যক্ষের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তাতে অধ্যক্ষের মানহানি হয়েছে বলেই দাবি। সে কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আরও একমাস সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ল। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর পড়়ুয়াদের আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন ওই অধ্যাপক। সে কারণেই সাসপেনশনের মেয়াদ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তিন পড়ুয়াকে প্রথমে সাসপেনশন এবং পরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পড়ুয়াদের আন্দোলনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। উপাচার্যের বাসভবন প্রতীচী ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। গৃহবন্দি হয়ে যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন তিনি। ছাত্র বিক্ষোভের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও (Calcutta High Court)। সব দিক খতিয়ে দেখে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। উপাচার্যের বাসভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে বিক্ষোভ করা যাবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
তারপর ৫০ মিটার দূরেই অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বর্তমানে যদিও কলকাতা হাই কোর্ট তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরানো সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ওই পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.