Advertisement
Advertisement

Breaking News

Visva Bharati University's VC Bidyut Chakraborty's comment sparks fresh controversy

‘প্রাক্তনী, আশ্রমিকরা ভোগবাদী’, অমর্ত্যর জমিজটের মাঝে ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য

বিশ্বভারতীর উপাচার্যর মন্তব্যে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

Visva Bharati University's VC Bidyut Chakraborty's comment sparks fresh controversy । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 8, 2023 6:56 pm
  • Updated:February 8, 2023 7:09 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিজট এখনও মেটেনি। তারই মাঝে ফের বিস্ফোরক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক এবং প্রাক্তনীদের ভোগবাদী বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। যা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দিরে বসে সাধারণত প্রাক্তনী, আশ্রমিক এবং রাবীন্দ্রিকরা নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। অথচ সেই উপাসনা মন্দিরে বসেই তাঁদের তুলোধনা করলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, প্রাক্তনী, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিকরা ভোগবাদী। বিশ্বভারতীতে সবাই নিজের নিজের আখেড় গোছাতে আছে। কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। ২০১৯ সালে আমি প্রাক্তনী, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিকদের বিশ্বভারতীর উন্নয়নে এগিয়ে আসতে বলেছিলাম। তাঁদের কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের জন্য বকা খেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এজলাসে বসেই আক্ষেপ, ব্যাপারটা কী?]

তিনি আরও বলেন, “২০২০ সালেও প্রাক্তনী, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিকদের বিশ্বভারতীর পাশে থাকতে বলেছিলাম। সে সময় ১০০ জনেরও বেশি আমাকে ৩০ দফা দাবি জানিয়েছিল। সেই কাগজ আমার কাছে আছে। বলা হয়েছিল আমাদেরকে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান করতে দিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বভারতী ভোগ করতে দিতে হবে। আমি যখন অধিকারের জায়গায় কর্তব্য পালন করতে বলি, তখন তাঁদের কাউকে দেখা যায় না। এখন কেউ যোগাযোগও করেন না আর।”

Advertisement

উল্লেখ্য, জমিজট নিয়ে সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। জমিজট মেটাতে আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এরপর নাম না করে বীরভূমের বোলপুরে জনসভার মঞ্চ থেকে উপাচার্যকে আক্রমণ করেন তিনি। তারই পালটা বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগে। তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বিতর্কের মাঝে উপাচার্যের এহেন মন্তব্য যে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রায়ই এমন কুকথা বলেন। উনি প্রাক্তনীদের সঙ্গে অচ্ছুতের মতো ব্যবহার করেন। ভাবেন একমাত্র তিনিই বিশ্বভারতীকে ভালবাসেন। আমি তাঁর কথায় গুরুত্ব দিই না।”

[আরও পড়ুন: নতুন ফোন হারালেন কোহলি, সান্ত্বনা দিতে এ কী বার্তা জোম্যাটোর! হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ