Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্বভারতী

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কর্মীরা, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যাপক, কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন।

Viswabharati university remain close from 31 August

ফাইল ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 24, 2020 10:23 pm
  • Updated:August 24, 2020 10:23 pm

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতীর কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। শুনতে হচ্ছে নানা কুকথা। তাই এই পরিস্থিতে অফিসে এসে তাঁদের পক্ষে কাজ করা কার্যত বিপজ্জনক। কর্মীরাও ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। তাই আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে পরীক্ষা, ভরতি, অনলাইন ক্লাস এবং জরুরি পরিষেবা আগের মতো খোলা থাকবে। অধ্যাপক, কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সোমবার এক বিবৃতিতে সেকথাই জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

সোমবার বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, ডাইরেক্টর-সহ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বৈঠকে মূলত ১৭ আগস্ট পাঁচিল ভাঙা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচলা হয়। ওই বৈঠকে আলোচিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখনও অফিস খোলার মতো স্বাভাবিক হয়নি। তাই বাড়ি থেকে কাজ করা হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মী ও অধ্যাপকদের প্রতিদিন ভয় দেখানো হচ্ছে। মহিলা কর্মীদের কুকথা বলা হচ্ছে। একই ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে যে সব ল্যাববেটরি রয়েছে সেগুলি দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করছে বলেও অভিযোগ। তার ফলে বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। বিপুল আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সুখবর! কালনা-শান্তিপুর সেতুর জমি জট কাটতে পারে সেপ্টেম্বরে]

এই পরিপেক্ষিতে অধ্যাপকেরা ঠিক করেছেন বাড়ি থেকে কাজ করবেন। এদিন বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতে হলে কেন পাঁচিল, ব্যারিকেড, ফেন্সিং করা জরুরি। কারণ গত বেশ কয়েকবছরে একাধিক ঘটনা ঘটেছে বিশ্বভারতীতে। ক্যাম্পাসের হস্টেলে ঢুকে ছাত্রীকে খুন, চন্দন গাছ চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই মিউজিয়ামে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষা করতে এবং সংগীত ভবনের কাছে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে সেখানে আসা বহিরাগতদের আটকাতে এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পাঁচিল দরকার। এদিকে, এদিন বিশ্বভারতী কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রবীন্দ্রসংগীত গাইতে গাইতে পোস্টার নিয়ে শান্তিনিকেতনের ফায়ার ব্রিগেডের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। তাদের দাবি, বিশ্বভারতীতে তাণ্ডবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করা যাবে না বলেও জানায় তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আসানসোলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যানারে অনুমতি ছাড়াই সুনীল শেট্টির ছবি, পুলিশের দ্বারস্থ অভিনেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ