Advertisement
Advertisement

ভুটান সীমান্তে মানুষ সমান প্রাচীর! বন্যজন্তুদের নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তর

বিপদের মুখে ব্যাঘ্র প্রকল্প।

Wall on Bhutan border
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 9, 2018 1:47 pm
  • Updated:November 9, 2018 1:47 pm

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: সীমান্ত বরাবর মানুষ সমান উঁচু পাকা দেওয়াল দিচ্ছে ভুটান সরকার। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীদের এক বনাঞ্চল থেকে অন্য বনাঞ্চলে যাওয়ার পথ। এই ঘটনায় রাজ্য বনদপ্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দপ্তরে কর্তারা তাদের এই উদ্বেগের কথা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জানিয়েছেন। ঘটনা শুনে উদ্বিগ্ন তিনিও। বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।

[মহিলাকে গণধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে লাঠি! নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া ঝাড়খণ্ডে]

Advertisement

বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “এই দেওয়াল দেওয়ার ফলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল থেকে ভুটানের বনাঞ্চলে যাওয়ার জন্য বন্যজন্তুদের রাস্তা বন্ধ হচ্ছে। আমি আধিকারিকদের কাছে লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি। সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেব। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রককে নিশ্চয়ই জানাবেন। এই প্রাচীর হলে এই এলাকার বন্য জন্তুদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। এর আগে ২২ কিলোমিটার এলাকা ফেন্সিং দিয়েছে নেপাল। ওই ফেন্সিংয়ের কারনে নেপাল সীমান্তের মেচি নদী এলাকায় মানুষ ও বন্যজন্তুদের সংঘাত বেড়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখছি।” উল্লেখ্য ৭৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল। পাহাড় সমতল মিলে এই বনাঞ্চল দেশের ১৫তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। এই বনাঞ্চলের প্রায় ৭০ কিলোমিটার ভুটান সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তে বন্য প্রাণীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কুমারগ্রামের কালীখোলা এলাকা থেকে মানুষ সমান উঁচু পাকা দেওয়াল দিতে শুরু করেছে ভুটান সরকার। আর এতেই চিন্তায় পড়েছে বনদপ্তর। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরাও।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অমল দত্ত বলেন, “আমরা ভুটান রাজার কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাব। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রককেও এই বিষয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হবে। এটা হলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সমূহ বিপদ হবে।” আলিপুরদুয়ারের আইনজীবী অনুজ মিত্র বলেন, “ ইন্টারন্যাশনাল আইনে দুই দেশের প্রয়োজনে এই দেওয়াল তোলার কাজ বন্ধ করা যেতেই পারে। ভারত জেনেভা আদালতে ভুটানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কিন্তু ভারত ভুটান যেহতু বন্ধুরাষ্ট্র তাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। এই দেওয়াল উঠলে ভারত ও ভুটান দুই দেশের বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভারত ভুটানের মধ্যে বর্ডার ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেশন মিটিং(বিডিসিএম) হয়। এই মিটিংয়ে আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দেন। সামনের বর্ডার ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়ে বিষয়টি তোলার তোরজোর করছে রাজ্য বনদপ্তর। এই বৈঠকে ভুটানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকেন। জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার বরুণ কুমার রায় বলেন, “বিষয়টি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখব। প্রয়োজন হলে তা নিয়ে ভুটানের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে।”

[দেনার দায়ে আত্মঘাতী বারুইপুরের মার্বেল ব্যবসায়ী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ