Advertisement
Advertisement
Painting

চিত্রশিল্পের অনন্য নিদর্শন, ক্যানভাসেই ত্রিমাত্রিক ছবি এঁকে বিশ্বরেকর্ড গ্রামবাংলার শিল্পীর

তেহট্টের সৌমিত্র মণ্ডল 3D-তে ছ'টি ছবি এঁকেছেন, দেখুন ভিডিও।

WB artist draws three dimensional image in canvas, sets world record | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 6, 2023 8:15 pm
  • Updated:August 6, 2023 8:33 pm

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: চিত্রশিল্পে বিপ্লব বাংলার শিল্পীর! রং, তুলি, ক্যানভাসেই ত্রিমাত্রিক ছবি এঁকে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হলেন নদিয়ার (Nadia)  শিল্পী সৌমিত্র মণ্ডল। তেহট্টের জিতপুরের বাসিন্দা সৌমিত্রর বাড়িতে পৌঁছে গেল ‘ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট রেকর্ড’-এর শংসাপত্র, মেডেল ও পুরস্কার। এই মুহূর্তে সৌমিত্র রিয়ালিস্টিক 3D ইলিউশন পেন্টিং নিয়ে ব্যস্ত। চিত্রশিল্পের এই ধরনকেই ভালবেসে ফেলেছেন তিনি। আর তার স্বীকৃতিও মিলল।

অঙ্কনশিল্পী সৌমিত্র মণ্ডল।

গত ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকে (Drawing)চলেছেন জিতপুরের সৌমিত্র। এতেই তাঁর পরম তৃপ্তি। এই ধরনের কাজ ধারেকাছে কোথাও আগে কখনও কাউকে করতে দেখেননি তিনি। নিজের চেষ্টাতেই ক্যানভাসে ত্রিমাত্রিক (Three Dimensional) ছবি ফুটিয়ে তোলার কাজ শুরু করেন সৌমিত্র। এখনও পর্যন্ত মোট ৬টি 3D ছবি এঁকেছেন। আর তার ভিত্তিতে ‘ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট রেকর্ড’-এর সম্মান এসেছে সৌমিত্রর ঝুলিতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘না নিজেরা করবে, না অন্যদের করতে দেবে’, রেলের অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ মোদির]

শিল্পী সৌমিত্র মণ্ডল জানিয়েছেন, ছোটবেলায় এক শিক্ষকের কাছে অঙ্কনের হাতেখড়ি হয় তাঁর। সেই থেকে একইভাবে আঁকা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দীর্ঘ ২০০০ সাল থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে বিদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ছবি তিনি এঁকেছেন। নেপাল, বাংলাদেশেও তিনি কর্মশালায় বেশ কয়েকবার অংশগ্রহণ করেছেন। ২৩ বছর ধরে এই কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করছেন। তাঁর হাতে আঁকা সমস্ত চিত্রের জাদুতে মুগ্ধ হন দর্শকরা। প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছেন সৌমিত্র। এবার এল বিশ্ব সম্মান।

Advertisement

চলতি বছর মে মাসে বিশ্ব রেকর্ডের জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। ছ’টি 3D ছবিই তিনি পাঠান সেই ফর্মের সঙ্গে। এক মাসের মধ্যে আয়োজক সংস্থা ছবিগুলি দেখে অনুমোদন করে। আর শনিবার বিকেলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শংসাপত্র, মেডেল, পুরস্কার পৌঁছে যায় সৌমিত্রর বাড়িতে। স্বভাবতই খুশিতে আত্মহারা গ্রামবাংলার এই অঙ্কনশিল্পী।

[আরও পড়ুন: ‘অমৃত ভারত’ স্টেশনের তালিকায় রাজ্যের ৩৭, আধুনিকীকরণে বাংলার জন্য কত বরাদ্দ?]

এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর রায়, বিশ্ববিকাশ কর্মকাররা জানান, সৌমিত্র নামের ছেলেটি ছোট থেকেই অঙ্গনের প্রতি আকৃষ্ট। তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল ছবি আঁকা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি দেশের বাইরেও অঙ্কন প্রতিযোগিতার কখনও বিচারকের ভূমিকায়, আবার কখনও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর হাতের তুলির টানে যে ছবি রূপ পায় সেই ছবি দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে এটা হাতে আঁকা। তার হাতে আঁকা 3D ছবি দেখলে ছবির দিক থেকে চোখ ফেরানো দায়। সেই ছবি সারাদিন দেখেও মন ভরে না। সৌমিত্রবাবুর তুলির ছোঁয়ায় যে ছবি ফুটে উঠে সেই ছবি ক্যামেরার লেন্সকেও হার মানিয়ে দেবে। সন্তানের গর্বে গর্বিত সৌমিত্রর পরিবার, প্রতিবেশীরাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ