Advertisement
Advertisement
UGC'র বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে ওয়েবকুপা

স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিয়ে UGC’র বিরোধিতা, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওয়েবকুপা

তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠনের মামলার শুনানি আগামী ৩১ জুলাই।

WEBCUPA files case against UGC on new guidlines of examination to Supreme Court
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 28, 2020 3:04 pm
  • Updated:July 28, 2020 3:07 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: চাপা সংঘাত, চিঠি আদানপ্রদান হয়েছে অনেক। এবার স্নাতক, স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসি’র নতুন গাইডলাইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করল রাজ্যের তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। আগামী ৩১ তারিখ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেপ্টেম্বরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে হবে, ইউজিসি’র এই নয়া গাইডলাইনের বিরোধিতায় নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। পাশাপাশি, আলাদা করে ৩১ জন পড়ুয়াও নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার কথা বলেন। এবার মামলার ওয়েবকুপার। সেই সবকটি মামলারই শুনানি ৩১ জুলাই।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী এ রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সেপ্টেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে প্রথমে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। তারপর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারও কোনও পালটা জবাব মেলেনি। ইউজিসি নয়া নির্দেশিকা প্রত্যাহারও করেনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনার সময়ে এই প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মদ্যপ চিকিৎসক যুগলের বেপরোয়া গতির বলি পথচারী, রণক্ষেত্র বাঁকুড়া]

এরপর মঙ্গলবার এ নিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েবকুপা। তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু জানিয়েছেন, শিক্ষা কেন্দ্র-রাজ্যে যৌথ তালিকায়। তাই আলোচনা না করে কেন্দ্র কীভাবে চাপাতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শুধু করোনার বিপদ রয়েছে, তাইই নয়। বাংলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে আমফানও। যার ফলে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। কোনও কোনও কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে। তাই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। কৃষ্ণকলিদেবীর আরও প্রশ্ন, করোনার কারণে যদি কেন্দ্র সিবিএসই, আইসিএসই পরীক্ষা বাতিল করতে পারে, তাহলে কেন স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিতে এত তৎপর? এই মামলার ফলে এই পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রানাঘাটে ব্যাংক ম্যানেজারকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভিডিও করায় হেনস্তা কর্মীকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ