সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য হাতিয়ার করে এবার রাজ্যের উপর পালটা চাপ সৃষ্টির পন্থা নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। বরখাস্ত বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্যের যে যে প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে যাবেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। তাঁদের দাবি, নূপুরের মন্তব্যের পর বিক্ষোভের জেরে যা যা সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, সব ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আসলে বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly) বিপর্যয়ের পর স্থানীয় স্তরে বিজেপির সংগঠনের তথৈবচ অবস্থা। ভঙ্গুর সেই সেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যে সব এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বা ভাঙচুর হয়েছে সেই এলাকার হিন্দু জনগোষ্ঠীকে। তাঁদেরকেই ক্ষতিপুরণের দাবিতে রাস্তায় নামাতে চায় রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। আসলে নূপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দেখান সংখ্যালঘুরা। ভাঙচুর, সম্পত্তিহানিরও অভিযোগ উঠেছে। তাতে হিংসা কবলিতে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। আগামী ২৫ জুন নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে কর্মসূচি শুরু। সেখানে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সূত্রের দাবি, লোকসভা, বিধানসভার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ধর্মীয় বিভাজন নীতিকে হাতিয়ার করে লড়াইয়ে নামতে চাইছে বিজেপি! প্রকাশ্যে অবশ্য ক্ষতিপূরণের দাবিকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিধানসভা অধিবেশনের পরই এই কর্মসূচি শুরু হবে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দলের নেতারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন করবেন।
যদিও বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য অশান্তি বাধানোর উদ্দেশ্যেই বিজেপি নেতারা এই কর্মসূচি নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, “ওই বিক্ষোভে অন্য রাজ্যে প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। এরপর যদি আবার বিজেপি সেখানে গিয়ে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে সেই উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওদেরই আগে গ্রেপ্তার করা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.