Advertisement
Advertisement
বেসরকারি হাসপাতাল

করোনা রোগীর চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’ বেসরকারি হাসপাতালের, নয়া গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্যের

গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা না হলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।

West Bengal government issuses a guideline for covid-19 patients
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 4, 2020 9:29 pm
  • Updated:July 4, 2020 9:56 pm

গৌতম ব্রহ্ম: করোনা (Coronavirus) রোগীর মৃত্যুর হার কমাতে ICMR-এর সঙ্গে সংগতি রেখে নিজস্ব চিকিৎসাবিধি তৈরি করল রাজ্য। সরকারি, বেসরকারি কোভিড হাসপাতালকে এই গাইডলাইন মেনেই করোনা চিকিৎসা করতে হবে। বিধিভঙ্গ হলে হতে পারে শাস্তিও।

বারবারই অভিযোগ উঠেছে,  রাজ্যের বহু বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে। কোথাও অকারণে রোগীকে রাখা হচ্ছে ভেন্টিলেশনে। আবার কোথাও প্রায় বিনা কারণেই দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ, সঠিক সময়ে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে না অক্সিজেন থেরাপি। এমনকি ভুল সময়ে স্টেরয়েড দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমনই একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের তৈরি চিকিৎসক কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাতেই বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতাও পান তাঁরা। বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখে চিকিৎসকদের মনে হয়েছে, সর্বত্র ICMR-এর প্রোটোকল মানা হচ্ছে না। কো-মরবিডিটিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত।

Advertisement

রাজ্যের তৈরি বিশেষ কমিটিতে থাকা এক চিকিৎসকের মতে, বহু রোগীকে অকারণে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হচ্ছে। তাতে রোগীর অবস্থার উন্নতির পরিবর্তে খারাপই হচ্ছে বেশি। যে রোগীকে অক্সিজেন থেরাপিতেই বাঁচানো সম্ভব তাঁকে অকারণ অন্যান্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে বিল বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও করোনা রোগীদের যেহেতু নজরদারি করতে পারেন না তাঁদের পরিজনরা, তাই বিল বাড়ানোর প্রবণতার মতো সমস্যা আরও বাড়ছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই ধৃত ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক, বিতর্কের জবাব পুলিশ সুপারের]

সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বেশ কিছু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ার পরই ICMR-এর সঙ্গে সংগতি রেখে নিজস্ব চিকিৎসাবিধি তৈরি করল রাজ্য। নতুন ওই বিধিতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, কো-মরবিডিটি মারণ ভাইরাস করোনার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর। তাই কো-মরবিডিটি রয়েছে এমন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে কোভিডের আগে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বয়স ও অসুস্থতা বিচার করে রোগীকে ওষুধ দিতে হবে। করোনা রোগীর মৃত্যুর হার কমানোই যে রাজ্যের একমাত্র লক্ষ্য সেকথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। রাজ্যের নিজস্ব গাইডলাইন সমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি হাসপাতালগুলিকে মানতে হবে। না মানা হলে ওই বেসরকারি কিংবা সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে শাস্তিও।  

[আরও পড়ুন: অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল সংক্রমণ, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৭৪৩ জন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ