মলয় কুণ্ডু: সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে আগামী ৩০ মার্চ অর্থাৎ বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এর অর্থ, অর্থবর্ষ শেষের ঠিক আগের দিন বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি দপ্তর।
২০২০ সালে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে রাজ্যে সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর আগে ১০ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত হয়। সেই অনুযায়ী ১০ এপ্রিল নয়, ৩০ মার্চ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার একথা ঘোষণা করে।
এই জন্মদিবসে ছুটি ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি। এর কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। বাংলা কিংবা ইংরাজি কোনও মতেই নেই। যেদিন মেলা হয়, সেদিনই ওই তিথি। এই কারণেই এবার ছুটির দিন বদলে গেল।
মতুয়াদের নিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা নতুন নয়। মতুয়াদের সমস্ত রকম সুযোগসুবিধা দেওয়ার আশ্বাস বরাবরই দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও মতুয়া ভোটব্যাংকে নজর ছিল গেরুয়া শিবিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) খোদ কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভিটেয় মতুয়া মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বাকি অংশে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়লেও মতুয়া সম্প্রদায়ই খানিকটা মান রক্ষা করেছিল পদ্মশিবিরের।
তবে মুখ্যমন্ত্রীও মতুয়াদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঠ্যপুস্তকে হরিচাঁদের জীবনী পড়ানোর মতো দাবিগুলি অনেকটাই পূরণ করেছে রাজ্য সরকার। আর গত দু’বছর ধরে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবসে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.