Advertisement
Advertisement

Breaking News

বেতন বৃদ্ধি এবং চাকরির স্থায়ীকরণের দাবি, এবার আন্দোলনের পথে ডেটা এন্ট্রি অপারেটাররাও!

মার্চ মাসেই বেতন বেড়েছে পঞ্চায়েতের সাড়ে তিন হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটারের।

West Bengal Panchayat data entry operators seek pay hike
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 12, 2019 8:01 pm
  • Updated:August 12, 2019 8:45 pm

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: চাকরির পদমর্যাদায় পরিবর্তন, ৬০ বছর পর্যন্ত কর্মজীবনের নিশ্চয়তা এবং বেতন বৃদ্ধি৷ এই তিন দাবিতে সরকারের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা (জিপিডিইও)। এই জন্য চলতি সপ্তাহেই পঞ্চায়েত দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ফেডারেশনের (ভিএলই) সদস্যরা।

[ আরও পড়ুন: বজ্রপাতে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের, বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েই চলেছে মৃত্যু ]

Advertisement

সংগঠনের হাওড়া জেলার সম্পাদক দীপঙ্কর ফৌজদার জানান, ‘‘রাজ্য সরকারের বদান্যতায় দীর্ঘদিন পর গত মার্চ মাসে আমাদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে আমরা এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীনস্ত ‘ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রোনিওর’ (ভিএলই) হিসাবে নিযুক্ত হয়েছি। আমরা চাই এই পদের নাম পরিবর্তন করে ‘গ্রাম পঞ্চায়েত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ করা হোক। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব, আমাদের কর্ম জীবনের মেয়াদকাল ৬০ বছর পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হোক, শূন্য পদে ভিএলই নিয়োগ করা হোক৷ এবং বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হোক৷’’ সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অপূর্ব প্রধান বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের জারি করা গত ১৫ জুলাইয়ের নির্দেশনামা (৩৯৯৮ এফ (পি২) অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।’’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মিষ্টিতে মেলবন্ধন পতাকা-রাখির, স্বাধীনতা দিবসে নয়া আকর্ষণ বর্ধমানে ]

উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। ২০০৭-২০০৮ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ ও কম্পিউটারে ডিপ্লোমা আছে এইরকম প্রার্থীদের শুধুমাত্র কমিশনের ভিত্তিতে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্প ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তথ্য নথিভূক্ত করার জন্য ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়। চুক্তিভিত্তিক এইসব কর্মীদের ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচের হিসাব কম্পিউটারে নথিভুক্ত করতে হয়। তখন তাঁরা এক একটি তথ্য বা ডেটা কম্পিউটারে তোলার জন্য মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ পয়সা পেতেন। মাস শেষে সর্বসাকুল্যে মাত্র এক-দেড় হাজার টাকা হাতে পেতেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ