সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কংসাবতীর নীল জলরাশি। নদীর চরে নৌকা। চারপাশে গাছগাছালি ছায়া। উড়ে বেড়াচ্ছে রঙবাহারি সব প্রজাপতি। নদীতটের নির্জনতাকে কাজে লাগিয়ে কংসাবতী আর কুমারীর সঙ্গমস্থল পুরুলিয়ার দোলাডাঙায় তৈরি হচ্ছে প্রজাপতি বাগান তৈরি করার উদ্যোগ নিল মানবাজার মহকুমা প্রশাসন। বন দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ তৈরি হবে এই ‘বাটারফ্লাই গার্ডেন’। দোলাডাঙায় কটেজ, ট্রাইবাল মিউজিয়াম, পার্ক, তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
[বিরল পরিযায়ীদের কলরবে মুখরিত গজলডোবা ব্যারেজ, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা]
পুরুলিয়ায় পর্যটনের প্রসার ঘটাতে মানবাজারের দোলাডাঙাকে ঢেলে সাজানো সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বছর দুয়েক ধরে জোরকদমে চলছে কাজ। দোলাডাঙায় পর্যটকদের থাকার অস্থায়ী জায়গাগুলিকে কটেজ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মানবাজার মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “দোলাডাঙাকেও আমরা সাজিয়ে গুছিয়ে একটি পৃথক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছি। তাই এখানকার নির্জনতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এখানে প্রজাপতি বাগান করার পরিকল্পনা নিয়েছি।” জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দোলাডাঙায় বাটারফ্লাই পার্ক তৈরির প্রকল্পের সমীক্ষার কাজও সেরে ফেলেছে মানবাজার মহকুমা প্রশাসন। জেলা পর্যটন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি এজেন্সি ডিপিআরও (ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট) তৈরির কাজ চলছে। আগামী শীতের মরশুম থেকেই যাতে দোলাডাঙা পর্যটক টানতে পারে সেই পথেই এগোচ্ছে প্রশাসন। এদিকে এবারও এই অফবিট ট্যুরিস্ট স্পট দোলাডাঙাকে তুলে ধরতে সম্ভবত ৯ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি দোলাডাঙা উৎসবের আয়োজন করছে মানবাজার ব্লক প্রশাসন।
[শিয়ালের কামড়ে জখম অন্তত ১৫, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বৈষ্ণবনগরে]
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বাটারফ্লাই পার্ক নেই । তাই মানবাজারে দোলাডাঙায় যদি এই পার্ক তৈরি হয়, তাহলে সেটিই হবে প্রথম। মানবাজার মহকুমাশাসক সঞ্জয় পালের কথায়, “বাটারফ্লাই গার্ডেনের জন্য নির্জনতাটা ভীষণ দরকার। তা দোলাডাঙায় রয়েছে। সেই সঙ্গে গাছ গাছালিও আছে। রঙবাহারি সব প্রজাপতিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু আমাদের ফুল গাছ লাগিয়ে উদ্যান গড়তে হবে। তাহলেই আরও ঝাঁকে ঝাঁকে মধু সংগ্রহে প্রজাপতিরা এখানে স্হায়ী ভাবে থাকবে।”
ছবি: অমিত সিংদেও
[ঠান্ডা জলেই হবে ভাত, এই প্রজাতির চালের খোঁজ রাখেন?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.