অরূপ বসাক, মালবাজার: স্বাভাবিক প্রসবে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় প্রসূতিকে। প্রসবের সময় তুলনামূলকভাবে কম ব্যথা অনুভবের বাসনায় অনেকেই সিজারিয়ান পদ্ধতির সাহায্য নেন। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসূতির সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। তবে নতুন দিশা দেখাল মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। ‘ওয়াকিং এপিডিউরাল’ পদ্ধতির মাধ্যমে ওই হাসপাতালে সন্তান প্রসব করলেন এক মহিলা।
‘ওয়াকিং এপিডিউরাল’ কী? এই পদ্ধতিতে বিশেষ অ্যানাস্থেশিয়ার মাধ্যমে হাঁটার সময় সন্তান প্রসব করানো হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। চিকিৎসকদের দাবি, এই ব্যবস্থায় আসন্ন প্রসবাকে একটি বিশেষ অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়। তাতে ওই মহিলা ব্যথা ছাড়াই স্বাভাবিক নিয়মেই প্রসব করতে পারেন। তাঁকে সন্তান প্রসবের জন্য উপযুক্ত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় হাঁটিয়েই।
মালবাজার ব্লকের ওদলাবাড়ির শান্তি কলোনির বছর বত্রিশের আসেদা বেগম এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেন। গত বুধবার পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ বন্দনা শাস্ত্রী এবং ডাঃ সৈকত মল্লিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপিকা রায়ের তত্ত্বাবধানেই আসেনা বেগম পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছে।
হাসপাতালে সুপার ডাঃ প্রিঙ্কুর জানা বলেন, রোগীর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। সে কারণেই ‘ওয়াকিং এপিডিউরাল’ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। কোনওরকম ব্যথা ছাড়া স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। আকিদার স্বামী জিয়াবুল হক বালি পাথরের শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালের পরিষেবায় আমরা খুবই খুশি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.