ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: নিজে কন্যাসন্তানের মা। ছোট জা সদ্যই জন্ম দিয়েছেন পুত্রসন্তানের। আর সেই আক্রোশে সদ্যোজাতকে খুনের অভিযোগ উঠল জেঠিমার বিরুদ্ধে। বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দুধের শিশুর দেহ। জেঠিমাকে আটক করেছে পুলিশ। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ২০ নম্বর শ্রীনাথ পোড়েল লেনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
বেশ কয়েক বছর আগে পেশায় গাড়িচালক সামিমউদ্দিনের সঙ্গে সামা পারভিনের বিয়ে হয়। ১ আগস্ট হাওড়া জেলা হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সামা। ৩ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। ওইদিন রাতে সন্তানকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন গৃহবধূ। তবে পরদিন ঘুম ভাঙার পর থেকে আর সন্তানকে দেখতে পাননি সামা। দুধের সন্তানের খোঁজ করতে শুরু করেন বধূ। তবে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে রান্নাঘরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। কল থেকে জলের পরিবর্তে রক্ত বেরতেও দেখা যায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন পরিবারের লোকজনেরা। সকলে ট্যাঙ্কে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। আর তাতেই সামনে এল হাড়হিম করা দৃশ্য। দেখা যায় ওই ট্যাঙ্কের নিচে পড়ে রয়েছে সদ্যোজাত শিশুপুত্রের নিথর দেহ। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিশুটির জেঠিমা, এক মহিলা ভাড়াটিয়া এবং তার ছেলেকে আটক করে। অভিযোগ, জেঠিমাই শিশুকে খুন করেছে। কেউ কেউ বলছেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে ছোট জায়ের সদ্যোজাত শিশুপুত্রকে খুন করেছে সে। আবার কারও কারও দাবি, অভিযুক্ত কন্যাসন্তানের মা। ছোট জা পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তা মানতে পারেনি বধূ। আর ঠিক সেই আক্রোশেই জা’র শিশুপুত্র খুনের সিদ্ধান্ত। পুলিশ অভিযুক্তকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাবে বলেই আশা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেনি আটক মহিলা। কী কারণে খুনই বা করতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.