সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারকা বলে কথা। তাই সাংসদ হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব সংসদীয় কেন্দ্রে আর তাঁর পায়ের ধূলো পড়বে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। উঠেছিল নানা অভিযোগও। শুধুমাত্র পুজো আসলেই ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তাঁদের। সাধারণত, এহেন চিন্তাধারাই পোষণ করেন অনেকে। ঠিক এমনটাই ভেবেছিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সম্পর্কেও। তবে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বদলানোর সুরই শোনা গেল নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ মিমির গলায়।
[আরও পড়ুন: ‘আই লাভ হিম লাইক ক্রেজি’! বর নিখিলকে নিয়ে মনের দরজা খুললেন নুসরত ]
সংসদীয় এলাকার মানুষের নানা সমস্যায় পাশে থাকবেন, এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিলেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “এলাকার মানুষের সমস্যায় সবসময়ে যথাসম্ভব তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। তবে দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় আমাকে পাওয়া যাবে না।” অতঃপর পুজোর ফিতে কাটার অনুষ্ঠানেই যে শুধুমাত্র তারকা নেতা-নেত্রীদের দেখা মেলে, সেই পথে যে তিনি হাঁটছেন না, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মিমি। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, নিজে সংসদের অধিবেশন বা এলাকার উন্নয়নের কাজের জন্য দিল্লিতে থাকলে কিংবা অন্য কোনও কাজে কলকাতার বাইরে থাকলেও কেন্দ্রের কাজের জন্য আলাদা টিম থাকবে। অতএব, সমস্যায় পড়লেই তাঁদের কাছে সাহায্য পাবেন মানুষ। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর ভাঙরের কাঁঠালিয়াতে তৃণমূলের এক সভায় যোগ দেন মিমি। মূলত, ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি এবং মিমিকে সংবর্ধনা জানানোর জন্যই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মঞ্চে বসেই তারকা সংসদের চোখ পড়ে সামনের রাস্তায়। পিচ রাস্তা ভেঙে প্রায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার এহেন বেহাল দশা দেখেই স্থানীয় দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে খবর নেন মিমি। নিজের সহায়ককে সেসব রাস্তার বেহাল দশা ক্যামেরাবন্দি করার নির্দেশও দেন সাংসদ। এরপরই রাস্তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন এলাকাবাসীদের।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্মবিশ্বাস ও আচরণের গুরুত্ব বুঝি’, ইসকনের রথযাত্রায় সমালোচকদের জবাব নুসরতের ]
মঙ্গলবারের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিমি বলেন, “অনেকেই মনে করেছিলেন আমি সাংসদ হলে এলাকায় আসব না। সেটা ভুল। এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে, মানুষের সমস্যা মেটাতে আমি আসব।” প্রসঙ্গত ভোটে জিতেই নিজের সংসদীয় এলাকার বাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মিমি। এছাড়াও, ২৫ জুন সংসদে শপথ নেওয়ার পরের দিন প্রথম অধিবেশনেই তিনি বিদ্যাধরপুর স্টেশনে ওভারব্রিজ তৈরির দাবি পেশ করেন। কার্যত, লোকসভা ভোটে জেতার পর মিমি চক্রবর্তী নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষদের সমস্যা নিয়ে যে সরব হয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।