পলাশ পাত্র, তেহট্ট: গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নদিয়ার তেহট্টে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে মাটি খুঁড়ে সেই যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার মৃতের বন্ধু-সহ তিনজন।
মৃতের নাম অমিয় বিশ্বাস। বাড়ি, তেহট্টের হোগলবেড়িয়ার হরিপুরে। গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, শুক্রবার রাতে অনিমেষ মণ্ডল নামে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অমিয়। আর ফেরেননি। এমনকী, রাতে বাড়ি না ফেরায় যখন অমিয়কে ফোন করেন বাড়ির লোকেরা, তখন তাঁর বন্ধু অনিমেষ ফোন ধরে বলে অভিযোগ। আর তাতেই সন্দেহ হয় মৃতের বাড়ির লোকেরা। হোগলবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনিমেষ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় অনিমেষ জানায়, শুক্রবার রাতে সে, অমিয় ও আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মেঘনার জঙ্গলে বসে মাদক সেবন করছিল। সেখানে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন অমিয় এবং মারা যান তিনি। মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি পুঁতে দিয়ে চলে আসে তারা।
কিন্তু বন্ধুরা তো অমিয়ের দেহটি জঙ্গল ফেলে রেখেও চলে আসত পারত। দেহটি মাটিতে পুঁতে দেওয়া হল কেন? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। রবিবার সকালে ধৃত অনিমেষ মণ্ডলের বয়ান অনুযায়ী মেঘনা জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে অমিয় বিশ্বাসের দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও দু’জন গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের লোকেরা অবশ্য থানায় খুনেরই অভিযোগ দায়ের করেছেন। শোনা যাচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে নাকি টাকাপয়সা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল অমিয়ের। সেই আক্রোশেই খুন হতে হয়েছে তাঁকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মেঘনা এলাকার জঙ্গলটি দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। রাতে অনেকেই জঙ্গলে বসে মাদক সেবন করে। চলে আরও নানা ধরনের অসামাজিক কাজও। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.