Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুস্থ শিল্পীদের ত্রাণ বিলি

লকডাউনে আয় বন্ধ, খাদ্যসামগ্রী দিয়ে মুখোশ-রণপা শিল্পীদের হাসি ফেরাল যুব তৃণমূল

প্রায় ১০০ পরিবারের হাতে খাবার তুলে দিলেন হুগলির যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

Youth TMC in Hooghly distributes food to the poor artists in Balagarh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 26, 2020 9:10 pm
  • Updated:April 27, 2020 12:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনন্দ উৎসবে যাঁরা অন্যের মুখে হাসি ফোটান, দীর্ঘ লকডাউন তাঁদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। অন্ধকার জমাট বেঁধেছে তাঁদের ঘরে। কারণ, লকডাউন কেড়েছে আয়ের উৎস। চার্লি চ্যাপলিন, মিকি মাউস সেজে মনোরঞ্জনের দিন শেষ। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে মুখের হাসি ফিরিয়ে আনল হুগলির যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার ডুমুরদহ, খামারগাছি ও জিরাট এলাকার মুখোশ শিল্পী ও রণপা শিল্পীদের বাড়িতে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পৌঁছে গেল খাবার। নিশ্চিন্ত হল কষ্টে থাকা প্রায় ১০০ পরিবার।

HGL-distribution

Advertisement

কখনও মিকি মাউস সেজে, কখনও চ্যাপলিন, আবার কখনও রণপার উপর চড়ে খেলা দেখানো। বছরভর নানা অনুষ্ঠান, উৎসবে তাঁদের দেখা যেত আমজনতার বিনোদনের কাজে। বিনিময়ে যে অর্থ হাতে পেতেন, তাই দিয়ে কোনওক্রমে চলত সংসার। তবে পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে, এঁদের কথাও ভুলে যাননি। ফলে রাজ্য সরকারের শিল্পী ভাতার আওতায় এসেছেন এঁদের বেশিরভাগ। কিন্তু লকডাউন সেসব কেড়ে নিয়েছে। কোনও অনুষ্ঠান নেই, আনন্দ নেই। সাজপোশাকে ধুলো জমছে হয়ত। সেইসঙ্গে আয় না হওয়ায় সংসারে খাবারেরও অভাব। এমন সময়ে একটা সাহায্যের হাত বড় প্রার্থিত ছিল এঁদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তর ২৪ পরগনায় আরও ২ জন করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে পরিবারের সদস্যরা]

অসময়ে এই মুখোশ এবং রণপা শিল্পীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াল হুগলি জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার গেল ডুমুরদহ গ্রামে। সেখানে চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান-সহ গেরস্থালির সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হল প্রায় ১০০টি পরিবারের হাতে। মুখোশ ও রণপা শিল্পী ছাড়াও প্রাপকের তালিকায় ছিলেন আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরাও। এসব পেয়ে অনেকদিন পর হাসি ফুটল তাঁদের মুখে।

HGL Old-Lady

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে সচেতনতার বার্তা, বাড়িতে বসে মাস্ক বানাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়ারা]

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এঁরা সারা বছর আমাদের হাসিতে ভরিয়ে রাখে। অথচ এই পরিস্থিতিতে ওঁদের হাসি চলে গিয়েছিল। এখন ওঁদের কাজ বন্ধ। একজন ফোন করে জানালেন যে ওঁদের সমস্যা, আমরা যদি কিছু সাহায্য করতে পারি। তা শুনে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আজ ওঁদের মুখের হাসি ফিরেছে। কয়েকটা দিনের জন্য নিশ্চিন্ত।” তাঁর শুভেচ্ছা, এভাবেই ওঁদের মুখে হাসি ফিরে আসুক। বজায় থাকুক মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি ভরসার বন্ধন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ