Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

উত্তর ২৪ পরগনায় আরও ৩ জন করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে পরিবারের সদস্যরা

আক্রান্তদের মধ্যে একজন অশোকনগর, ও বাকি দু'জন নৈহাটি ও বেলঘরিয়ার বাসিন্দা।

2 more COVID-19 tested positive in North 24 Pargana
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 26, 2020 8:03 pm
  • Updated:April 26, 2020 9:32 pm

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও বেলঘরিয়া ও অশোকনগরে আরও তিনজনের শরীরে মিলল করোনার জীবাণু। কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁদের। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন পেশায় নার্স।

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন নৈহাটির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা। করোনা আবহে ঝুঁকি না নিয়ে শুক্রবারই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ভরতি করে কল্যাণীর এম জে এন হাসপাতালে। প্রাথমিক উপসর্গে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। রবিবার রিপোর্ট আসতেই জানা যায় করোনা আক্রান্ত ওই মহিলা। নৈহাটি পুরসভার পুর পারিষদ সনৎ দে বলেন, “রবিবার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জানা গিয়েছে ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে, তাঁর স্বামী ও চার মেয়েকে।” এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রতিবেশীদের মধ্যে। সুরক্ষার কারণে সিল করে দেওয়া হয়েছে এলাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: র‌্যাপিড টেস্ট কিট রাখতে হবে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, নির্দেশ আইসিএমআরের]

অন্যদিকে, এদিনই বেলঘরিয়ার বাসিন্দা একজনের শরীরেও মিলেছে করোনার জীবাণু। জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়ার শরৎপল্লির বাসিন্দা ওই আক্রান্ত পেশায় সরকারি হাসপাতালের নার্স। ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। কোয়ারেন্টাইনে গোটা পরিবার। অন্যদিকে, অশোকনগরের বাঁশপুল এলাকার বাসিন্দা পোর্ট ট্রাস্টের কর্মী এক ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। ২১ এপ্রিল তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। উপসর্গে সন্দেহে হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা যায় করোনা আক্রান্ত তিনি। এরপরই তাঁকে পাঠানো হয়েছে বারাসতের কদম্বগাছির কোভিড হাসপাতালে। কোয়ারেন্টাইনে পরিবার। জানা গিয়েছে, লকডাউনের মাঝে অফিসের গাড়িতে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, “আক্রান্তকে বারাসতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল স্যানিটাইজ করা হয়েছে।” তাছাড়া ওই ব্যক্তি আইসোলেশনে ছিলেন, তাই অন্য রোগীদের আতঙ্কের কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত , শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০,  মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে এক প্রসূতির শরীরে করোনার থাবা, বাঙ্গুর হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ