রোহিত শর্মার চূড়ান্ত সাফল্য থেকে অয়ুষ্মানের জাতীয় পুরস্কার জয়৷ এমনই কিছু ঘটনা বছরভর দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে, গর্বিত করেছে৷ বছর শেষে আরও একবার আনন্দের মুহূর্তগুলি ফিরে দেখলে কেমন হয়! বর্ষবরণের প্রাক্কালে সেই সুখের স্মৃতিগুলি তুলে ধরল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড: ক্রিকেটের জন্মস্থানই এত বছর ছিল বিশ্বকাপহীন। শেষমেশ ঘরের মাঠেই স্বপ্নপূরণ হয়। ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বে বাউন্ডারি কাউন্টে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে যায় ফাইনালের সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই। সমসংখ্যক রান করেও নিয়মের বেড়াজালে ট্রফি হাতছাড়া হয় কিউয়িবাহিনীর। বিশ্বকাপ জিতে অকাল দিওয়ালি পালন করেছিল ইংল্যান্ড।
সৌরভের দাদাগিরি: অধিনায়ক হিসেবে ভারতীয় দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর এই বছর তিনি বসেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সর্বোচ্চ মসনদে। বিসিসিআই সভাপতি হয়েই আবার সফলভাবে ইডেনে ভারতের প্রথম পিংক বল টেস্ট আয়োজন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দাদার দাদাগিরি নিঃসন্দেহে এ বছরের বড় সাফল্য।
মোদি ২.০: বিরোধীদের দম্ভচূর্ণ করে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার শুধু ক্ষমতায় ফিরেছিলেন, তা নয়। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে নজির গড়েছিলেন। ৩০৩টি আসনে জয়ী বিজেপি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৮৪-তে ৪১৪ আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পর দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। যা বিজেপি সরকারের বিরাট সাফল্য।
মেসিই সেরা: ফুটবল বিশ্বের ইতিহাসে নয়া অধ্যায়ের সূচনা হয় লিওনেল মেসির হাত ধরে। দুনিয়ার একমাত্র তারকা হিসেবে ছ’টা ব্যালন ডি’ওরের মালিক এলএম টেন। পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জিতে আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে একই আসনে ছিলেন পর্তুগিজ মেগাস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে ষষ্ঠবারের জন্য এই পুরস্কার ঘরে তুলে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান মেসি।
ব্রাজিলের কোপা জয়: এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাতিন আমেরিকা সেরা হয় ব্রাজিল। পেরুকে পরাস্ত করে নবমবার কোপা খেতাব ঘরে তোলে সেলেকাওরা। নেইমার ছাড়াই সাম্বা ম্যাজিকের সাক্ষী থাকে মারাকানা। সাফল্য চুম্বন দেয় দানি অ্যালভিসের পায়ে। প্রথম ব্রাজিলীয় হিসেবে দলের ৪০টি ট্রফি জয়ের অংশীদার হয়ে যান তিনি।
রাজা রোহিত শর্মা: ২০১০ থেকে ২০১৯। গোটা একটা দশক বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করল টিম ইন্ডিয়া। আর সেই রাজত্বের রাজা নিঃসন্দেহে রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন না হলেও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন হিটম্যানই। বছরও শেষ করেন সবচেয়ে বেশি রান ঝুলিতে ভরে। কার্যত গোটা বছর তাঁর অনবদ্য ফর্মের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সাংসদ মিমি-নুসরৎ: ছক ভেঙেও যে সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো যায়, সেটাই এ বছর বুঝিয়ে দিয়েছেন টলিউডের দুই অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরৎ জাহান। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন। প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদে দাঁড়িয়ে নিজেদের কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন দু’জনই। শুধু তাই নয়, লোকসভাতেও জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সমস্যার কথা তুলে ধরে গোটা দেশের নজর কাড়েন সাংসদ মিমি-নুসরৎ।
নজরকাড়া অয়ুষ্মান-ভিকি: বলিউডের তিন খান থেকে সুপারস্টার অক্ষয় কুমার, প্রত্যেককেই কড়া টক্কর দিয়েছেন তিনি। কম বাজেটের ছবিতে অভিনয় করেও বক্স অফিসে ঝড় তুলেছেন। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। আর সেই সৌজন্যেই প্রথমবার জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন অয়ুষ্মান খুরানা। ‘অন্ধধুন’ ছবিটির জন্য পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। তবে তিনি একা নন, ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর মতো দেশাত্মবোধক ছবিতে অভিনয় করে প্রথম সারির অভিনেতাদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভিকি কৌশলও। জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকেও। এই দুই তারকার সামনে স্বয়ং ঈশ্বর যেন সাফল্যের ঝাঁপি উজার করে দিয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.