Advertisement
Advertisement
Jobs

আপনি কি পরিবেশ সচেতন? বাংলায় ‘গ্রিন জব’-এর প্রচুর সুযোগ, জেনে নিন বিস্তারিত

'ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিট'-এ আইআইটি, কানপুরের অধ্যাপকের দাবিতে বাড়ছে আশা।

Green Jobs: if you are environmentalist, here is huge scope of jobs within West Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 26, 2022 4:56 pm
  • Updated:August 26, 2022 4:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ (Environment) রক্ষা আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ হয়ে উঠেছে। নিজেদের আশেপাশের পরিবেশ সুস্থ রাখার মতো ভাল কাজে জড়িত থাকতে চান অনেক সচেতন নাগরিকই। তবে শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ নয়, এখন পরিবেশবান্ধব চাকরিরও সুযোগ অনেক। পোশাকি নাম যার – ‘গ্রিন জব’ (Green Jobs)। পশ্চিমবঙ্গেই শুধুমাত্র এই বিভাগে হাজার হাজার চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। চতুর্থ ‘ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিট(ICAS)’-এর আলোচনায় এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন IIT, কানপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের বর্ষীয়ান অধ্যাপক এস এন ত্রিপাঠি।

শুধুমাত্র বায়ুদূষণ (Air Pollution) সেক্টরে পশ্চিমবঙ্গে কুড়ি থেকে চল্লিশ হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি বলেন, “ভারতজুড়ে বায়ুর মান ডোমেনেই এক মিলিয়ন ‘গ্রিন জব’ তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য আইআইটি-গুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। তারাই পারে প্রশিক্ষণ দিতে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের জন্য কাজের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তার জন্য আইআইটি, খড়গপুরে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বলিউডে শুধু স্টার রয়েছে, দক্ষিণেই আসল সিনেমা তৈরি হয়’, বিস্ফোরক অনুপম খের

ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের(NCAP) সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে NCAP ২.০ শুরু করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাহলেই এই গ্রিন জব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিট 2022 এর থিম ছিল “Looking at air pollution through the climate lens”। যার প্রধান আয়োজন ছিল সেন্টার ফর স্টাডি অফ সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসি(CSTEP)। সেখানেই আলোচনা প্রসঙ্গে প্রফেসর ত্রিপাঠী আরও বলেন, “মূলত শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই কাজগুলি তৈরি হবে। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামকে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে”

Advertisement

বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের আশা, পশ্চিমবঙ্গ বায়ুদূষণ রোধের ক্ষেত্রে পরিবহণের পাশাপাশি এয়ারশেড ব্যবস্থাপনায় যে সক্রিয়তা দেখিয়েছে তাতে দেশে বায়ুদূষণ রোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে। ন্যাশনাল ক্লিয়ার প্রোগ্রামের প্রথম ধাপ শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সালে। ICAS 2022-এ উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যকে এই সময়সীমার মধ্যে থেমে না থেকে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।

[আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল নয়, পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা এলাকার সংগঠনের ভার স্থানীয় নেতৃত্বেরই]

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের সাত শহর – কলকাতা, হাওড়া, বারাকপুর, হলদিয়া, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং রানিগঞ্জ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এই সাতটি শহরকে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের অধীনে নিয়ে আসে। বায়ুদূষণের উপর কাজের জন্য এটিও কর্মসংস্থান তৈরির এক অন্যতম অংশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ